প্রতিবেদন : ইউক্রেন যুদ্ধে এখনই ইতি পড়ার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বরং পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে। পশ্চিমি বিশ্বে প্রায় একঘরে হয়ে পড়া রাশিয়া ইউক্রেনের মাটিতে নতুন করে বড়সড় হামলা শুরু করে দিয়েছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনী দাবি করেছে, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মিসাইল হামলায় তারা ইউক্রেনের ১৭টি সামরিক ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, একটি কমান্ড পোস্ট এবং রকেট ও বিস্ফোরক মজুত করার কয়েকটি গুদাম। রুশ বোমারু বিমানের হামলায় ইউক্রেনের ২০০ সেনা নিহতও হয়েছেন বলে দাবি মস্কোর। যদিও ওডেসা বিমানবন্দরে হামলা প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছে ক্রেমলিন। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল,রাশিয়ার ছোঁড়া মিসাইলে ওডেসা বিমানবন্দরের রানওয়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। রাশিয়া এদিন একটি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, ইউক্রেন নিজের উপর নিজেই হামলা করছে। দায় চাপাচ্ছে রাশিয়ার ঘাড়ে। এটি একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। মস্কোর দাবি, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের খারসনে এইভাবেই নিজের দেশের নাগরিকদের মেরেছে জেলেনস্কির সেনা। ইউক্রেনের পালটা দাবি, রুশবাহিনী খেরসনের প্রশাসনিক সীমানা ভেঙে মাইকোলাইভ এবং ক্রিভিরিহ শহর দখলের পথ সুগম করার জন্য প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছে।
এরই মধ্যে ইউক্রেনের প্রতি সংহতি জানাতে আচমকাই কিয়েভ সফরে গিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি (Nancy Pelosi and Angelina Jolie in Ukraine)। প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কির সঙ্গে তিনি দেখা করেন। অত্যন্ত ইঙ্গিতবাহী একটি ঘোষণাও তিনি করেছেন। বলেছেন, যুদ্ধ না-থামা পর্যন্ত আমেরিকা ইউক্রেনের পাশে থাকবে। পেলোসির সঙ্গে সাক্ষাতের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন জেলেনস্কি। তাতেই পেলোসিকে বলতে শোনা যায়, আপনাদের লড়াই, আমাদের সবার লড়াই। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাইডেনের পর পেলোসিই প্রশাসনের সবচেয়ে সিনিয়র মার্কিন নেতা। তিনি নিজে কিয়েভে এসে যেভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেবে। হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলিও (Nancy Pelosi and Angelina Jolie in Ukraine) যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন সফর করেছেন। শনিবার যু্দ্ধবিধ্বস্ত লিভিভ শহরে যান তিনি। ঘরহারাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। গত মাসে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনেও গিয়েছিলেন জোলি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক দফতরের বিশেষ দূত জোলি। তথ্য বলছে, যুদ্ধের জেরে ইউক্রেনে এক কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইদের মুখেও বিদ্যুৎ সংকট পাকিস্তানে