প্রতিবেদন : এএফসি কাপের প্রস্তুতি হিসেবে সন্তোষ ট্রফিতে রানার্স বাংলা দলের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। ম্যাচে জুয়ান ফেরান্দোর দলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক দিল বাংলা। গোলদাতা তুহিন দাস। প্রীতি ম্যাচের আবহ থাকলেও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে কড়া টক্কর হল দু’দলের মধ্যে। এএফসি কাপে কঠিন লড়াইয়ের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন কম্বিনেশন পরখ করে নেন সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। প্রথমার্ধে মনবীর সিং, প্রীতম কোটালদের সঙ্গে একমাত্র বিদেশি হিসেবে জনি কাউকোকে খেলান জুয়ান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় পুরো দলকেই নামিয়ে দেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ। তিরি, হুগো বোউমাস, ডেভিড উইলিয়ামস, কার্ল ম্যাকহিউকেও নামিয়ে দিয়েছিলেন জুয়ান। কিন্তু সদ্য সন্তোষ ট্রফিতে দুর্দান্ত খেলে আসা মনোতোষ চাকলাদার, দিলীপ ওরাওঁ, নবি হোসেনরা বড় দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাননি। নিজেদের সেরাটা দিয়েই ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচে চোট পান ফারদিন আলি মোল্লা।
আরও পড়ুন-উন্নয়নের ১১ বছর পালন
মোহনবাগান কোচ প্রীতমদের একাধিক পজিশনে খেলিয়েও দেখে নেন। বাংলার একমাত্র গোলটি হয় সন্দেশ ঝিঙ্গানের ভুলে। সন্দেশের ফিটনেসে খুশি নন জুয়ান। এদিকে, রয় কৃষ্ণ শহরে এসে প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন। ম্যাচ না খেললেও মাঠের এক প্রান্তে আলাদা অনুশীলন করেন ফিজির গোল মেশিন। বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ফাইনাল হারের ক্ষত এত সহজে শুকোবে না। তবে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। কারণ, প্র্যাকটিস ম্যাচ হলেও আমারও কিছু প্রমাণ করার ছিল। ট্যাকটিক্যাল লড়াইয়ে কিছু প্রমাণ করতে পেরেছি বলেই মনে হয়। ছেলেরাও সেরা দলের বিরুদ্ধে টক্কর দিয়েছে।’’