প্রতিবেদন : বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্কুলের পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনতে চায় রাজ্য। তবে তার আগে বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে। এমনকী জেলার প্রান্তিক মানুষদের মতামতও নেওয়া হবে। শুক্রবার বিকেলে রাজ্যের নতুন সিলেবাস কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বর্তমান স্কুল সিলেবাসের (Syllabus) পর্যালোচনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ‘অশনি’ নিয়ে অশনিসংকেত, ঘূর্ণীঝড় আছড়ে পড়বে মঙ্গলবার
পঠনপাঠনকে আরও জীবনমুখী করা দরকার। যাতে সাহিত্য, ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞানের পাশাপাশি ছেলেমেয়েরা ক্লাসরুম থেকেই জীবনের বাকি পথচলার ধারণা তৈরি করে নিতে পারে। সরকার যা চাইছে, যা নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। এবার কেবল কলকাতা বা তার আশপাশের নয়, সমস্ত জেলার মতামত নেওয়া হবে। তারপর সিলেবাস বদলাবে। শুধু বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সে কাজ করা হবে না। ২০১১ সালে নতুন সরকার গঠনের পর সিলেবাস (Syllabus Committee) কমিটি তৈরি হয়, যার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রয়াত সুনন্দ সান্যাল। তাঁর পর অধ্যাপক অভীক মজুমদার দায়িত্ব নেন। একদম প্রি-প্রাইমারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক— সমস্ত সিলেবাস বদল হয়। সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন রাজ্যের নতুন শিক্ষানীতি তৈরির জন্য গঠিত কমিটি বিকল্প শিক্ষানীতি তৈরির জন্য গঠিত ১০ সদস্যের ওই কমিটির প্রধান কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যে ৬০টি বই সিলেবাসে আছে। এই সব ক’টি বই কুরিয়ার করে তাঁকে আগেই পাঠানো হয়েছে। আমেরিকা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। রাজ্যে স্কুলশিক্ষায় সিলেবাস বদলের কাজ শুরু হয়েছিল বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পরই। দফায় দফায় বিভিন্ন ক্লাসের সিলেবাসের বদল হয়। যেমন সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন-সহ বেশ কিছু গণ-আন্দোলন সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রাজ্য সরকার আবার দেখে নিতে চাইছে চলতি সিলেবাস কতটা সময়োপযোগী। তাছাড়া এখন সিলেবাস পর্যালোচনার আরও একটি কারণ কেন্দ্রের শিক্ষানীতি। দিল্লির অনেক সুপারিশের সঙ্গে রাজ্য একমত নয়। দেশের চলতি রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতেও সিলেবাসের সময়োপযোগী পরিবর্তন জরুরি।