সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে তৃতীয়বারের জন্য দুর্গাপুরের মিনি নবান্নে ক্ষমতায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোটে জেতা নিয়ে তারা তেমন চিন্তিত নয়। বরং প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে জোর দেওয়া হচ্ছে শহরের ৪৩টি ওয়ার্ডে বকেয়া থাকা কাজগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেরে ফেলায়। আসন্ন পুরনিগম নির্বাচনে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই যাতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল, সেই লক্ষ্যেই জনসংযোগ বাড়ানোর উপর সর্বাধিক নজর দেওয়া হয়েছে।
উন্নয়নমূলক যে কোনও কাজের শিলান্যাস অথবা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়ার্ডের বরিষ্ঠ নাগরিকদের অতিথি হিসেবে উপস্থিতিই প্রমাণ করে, এলাকার উন্নয়নে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানের হার আগের তুলনায় অনেকখানি গতি পেয়েছে। ২০১২ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথমবার মেয়র পদে আসীন হন বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। ২০১৭ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। নগর নিগমের ৪৩ ওয়ার্ডের ৩৩টি দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত। বাকি দশটি দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের অধীনে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রে বেশ কিছুটা পিছিয়ে তৃণমূল। কারণ ওই বিধানসভায় জয় পায় বিজেপি।
আরও পড়ুন-একাধিক কর্মসূচি নিয়ে ১১ মে অসম সফরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়
তবে এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের প্রশ্নে বিজেপির ভূমিকায় সাধারণ মানুষ এখন রীতিমতো হতাশ। গত এক বছরে কেবল নেতিবাচক রাজনীতি করে উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করার চেষ্টা করে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই সঙ্গে বস্তি উচ্ছেদ, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-কারখানা বন্ধ করার মতো জনবিরোধী কাজের মাশুল গুনতে হবে তাদের বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত পাঁচ বছরে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বস্তি উন্নয়ন, পানীয় জলের সংযোগ, বিদ্যুদয়ন, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয় বর্তমান পুরবোর্ডের তরফে। সেগুলির ক্ষেত্রে বকেয়া থাকা কাজগুলো দ্রুত সম্পূর্ণ করে মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য নির্বাচনে জেতার প্রস্তুতি নিচ্ছে শাসক শিবির।