আলিপুরদুয়ার : উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে যেখানে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, দ্রুতগতিতে কাজ চলছে উন্নয়নের। তা বানচাল করে দিতেই এবার বিজেপি রাজ্যভাগের উসকানির রাজনীতি শুরু করেছে। পাহাড়ের মানুষ বিজেপি-র এই হীন চক্রান্ত মেনে নিতে পারছেন না। ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। প্রবল জনমত তৈরি হয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, উত্তরবঙ্গ বাংলারই অঙ্গ। এবং তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি বছরে অসংখ্যবার উত্তরের উন্নয়নের কাজ নিজে চোখে পরখ করতে আসেন এই উত্তরের মাটিতে।
আরও পড়ুন-জোটের ভরকেন্দ্র জননেত্রী, বাংলাই এবার পথ দেখাবে দিল্লিকে
এই সরকারের আমলেই উত্তরে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, সেতু, রাস্তা, বাঁধ ও সেচব্যবস্থা-সহ অনেক পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বেশ কিছু উন্নয়নের কাজ চলছেও। উত্তরের জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য তিনি একাধিক উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে, তাঁদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অর্থও বরাদ্দ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব দিয়েছেন সৌরভ চক্রবর্তীকে। সৌরভ দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রক মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানের জন্য ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
আরও পড়ুন-মুণ্ডেশ্বরী সেতু, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পালনে প্রশাসন
আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রকাশ চিক বাড়াইক বিজেপি-র বঙ্গভঙ্গের দাবি প্রসঙ্গে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের জোয়ারে বিজেপি-র বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতি ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে। উত্তরের মানুষ উন্নয়ন চায়, বঙ্গভঙ্গ নয়।’ তাই যেখানে রাজ্য সরকার উন্নয়নের কথা বলছে, সেখানে বিজেপি পরাজিত হয়ে, ক্ষমতায় না এসে উসকানির রাজনীতি করছে এবং বিভাজনের তাস খেলতে চাইছে। কিন্তু বিজেপি-র এই বঙ্গভঙ্গের ফাঁদে পা দিতে নারাজ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজেপির কর্মীরাও। যার কারণে তৈরি হয়েছে বিরুদ্ধ জনমত। এরই ফলস্বরূপ উত্তরবঙ্গে চূড়ান্ত ফ্লপ হয়েছে বিজেপি-র শহিদ সম্মানযাত্রা।