সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : লেখক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শান্তিনিকেতনের সীমান্তপল্লির বর্ষীয়ান লেখক গীতিকণ্ঠ মজুমদার। লেখক হিসেবে যথেষ্ট নামডাক আছে ৬১ বছর বয়সি গীতিকণ্ঠ মজুমদারের। প্রয়াত বুদ্ধদেব গুহর সঙ্গে ছিল তাঁর হৃদ্যতা। বুধবার সামাজিক মাধ্যমে লেখক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে নিন্দুকদের উদ্দেশে কলম ধরে খোলা চিঠি দিলেন তিনি। সেই চিঠিতে বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘উপলব্ধি’ বই প্রকাশের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সালটা ১৯৯৫-৯৬ হবে।
আরও পড়ুন-পেট্রোল-ডিজেলের পর টোল ট্যাক্সে থাবা কেন্দ্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বইমেলায় দে’জ বুক স্টলে এলেন। যাঁরা যাঁরা বই কিনছিলেন, চাওয়ামাত্র তাঁদের সই দিলেন। তারপর চলে গেলেন। কত বই যে বিক্রি হল বলে বোঝাতে পারব না। দে’জের সুধাংশুদাকে বললাম, আপনি ছাড়া কেউ কিন্তু বই ছাপার সাহস দেখাতে পারত না। এমন লড়াকু নেত্রী, গ্রামের মানুষদরদি মানুষ বিরল।’ গীতিকণ্ঠবাবু বলেন, ‘‘একশোর উপর বই আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রায় সবগুলোই বেস্টসেলার। এবছরই বই বিক্রির জন্য ১০ লক্ষ টাকার উপর রয়্যালটি পেয়েছেন খোঁজ নিয়ে দেখুন। আমি শাসকদলের কেউ নই, তাদের থেকে কোনও উপকার পাইনি বা চাইনি। আমার প্রয়োজন পড়েনি। ক্যানসারে ভুগছি। কোনদিন চলে যাব।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই ক্ষোভ বিশ্বভারতীর আশ্রমিকদের, নোবেল উদ্ধারে ফেল সিবিআই
কিন্তু নিন্দা করার আগে এগুলো ভেবে দেখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হয়তো আজ বেশি সমালোচনা হচ্ছে। আগে কিন্তু এমন হয়নি। তাঁর বই বিক্রি আগেও তো কম ছিল না। তাঁর পুরস্কার পাওয়াটা কি অপরাধ? তবে সমালোচনা তো আশীর্বাদ। আমার মনে হয় এর ফলে বই বিক্রি বহুগুণ বেড়ে যাবে।’’ লেখক হিসেবে ন্যাশনাল লাইব্রেরির বেঙ্গল পোয়েট্রি অ্যাকাডেমি, মধুসূদন আকাদেমি, বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কার, বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য সংস্কৃতি সম্মান পেয়েছেন গীতিকণ্ঠবাবু।