কমল মজুমদার জঙ্গিপুর: একবার টমাস আলভা এডিসন বলেছিলেন, হাজার তিনেক বার চেষ্টাতে একটা উপযুক্ত বাতির ফিলামেন্ট তৈরি করতে পেরেছিলাম। সাফল্য পেতে গেলে পরিশ্রম, চেষ্টা আর ধৈর্য থাকতে হবে। জানতেন সামশেরগঞ্জ থানার নিমতিতা শেরপুর গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বছর ৩৩-এর তরুণ অমরজিৎ মণ্ডল।
কয়েন জমিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যান তিনি। সম্প্রতি দশ বছর ধরে সংগ্রহ করে রাখা এক পয়সার কয়েন দিয়ে মাত্র ২০x২৪ সেমি মাপে সবচেয়ে ছোট ভারতীয় ম্যাপ আঁকেন অমরজিৎ। পাঠিয়ে দেন ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসে। ২২ এপ্রিল ফাইনাল পর্ব হওয়ার পর সোমবারই প্রকাশিত হয় রেকর্ড তালিকা।
আরও পড়ুন-প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের সুযোগ ইউক্রেন পড়ুয়াদের
এলাকার মুখ উজ্জ্বল করে ‘ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম তুলতে সক্ষম হন তিনি। তাঁর এই সাফল্যে খুশি অনুরাগীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতে শুরু হয় প্রশংসা। শাহজাদপুর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অমরজিৎবাবুর কেমন লাগছে জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, ‘‘বহুদিনের একটা শখ কিছুটা হলেও যে স্বীকৃতি পেল এটা ভেবেই খুব খুশি আমি। বহুদিন ধরেই কয়েন সংগ্রহ করছি। ১৯৬২, ১৯৬৩, ১৯৬৪ এইসব পুরনো মুদ্রা রয়েছে। স্বাধীনতার আগের কিছু মুদ্রাও আছে। এমনকী আছে ১৮১৮ সালের ওয়ান ইউকেএল কয়েনও। ভাবছিলাম এগুলো দিয়ে ক্রিয়েটিভ কিছু করা যায় কি না। মাথায় এল, সবচেয়ে ছোট ভারতীয় ম্যাপ বানালে কেমন হয়। ৭৭টা এক পয়সার কয়েন দিয়ে চেষ্টা করি ২০x২৪ সেমি মাপের সবচেয়ে ছোট ভারতীয় ম্যাপ বানাতে। ২০ তারিখ পাঠানোর পর মেলের মাধ্যমে স্বীকৃতি এল।’’ এতদিন বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েও স্বীকৃতি না মেলায় কিছুটা হতাশ ছিলেন অমরজিৎ, কিন্তু কোনও সময়ই ধৈর্য হারাননি। শেষ পর্যন্ত এল সেই স্বীকৃতি। যার জেরে চতুর্দিকে নাম ছড়িয়ে পড়ল তাঁর।