কাবুল : নয় দিন হয়ে গেল আফগানিস্তানে দখল নিয়েছে তালিবান। জঙ্গি শাসকদের হাত থেকে বাঁচতে আফগানিস্তান ছাড়ার ঢল নেমেছে। সে দেশের বেশিরভাগ শান্তিপ্রিয় মানুষ চাইছেন অবিলম্বে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যেতে। এরই মধ্যে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের বেশ কিছু নাগরিক সেদেশে আটকে রয়েছেন। সকলেই দ্রুত নিজের নিজের দেশে ফিরতে চাইছেন। তালিবানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পূর্বনির্ধারিত ৩১ অগাস্টের মধ্যে সমস্ত মার্কিন নাগরিককে আফগানিস্তান ছাড়তে হবে। তারপরেও কেউ যদি সে দেশে থাকে তবে তার দায় নেবে না তালিবান। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছিল মার্কিন সেনা সরানোর ক্ষেত্রে সময়সীমা ৩১ অগাস্টের পর আরও কিছুটা বাড়ানো হতে পারে। সেই গুজব ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই তালিবানরা স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ৩১ অগাস্টের পর আফগানিস্তানে থাকলে তার ফল হবে মারাত্মক।
আরও পড়ুন :তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবেন না: আরিয়ানা
মার্কিন নাগরিকদের মতো বহু ভারতীয় এখনও সেদেশে আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার কিন্তু সেটা যথেষ্ট দেরিতে। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের ঘুম ভাঙতে যথেষ্ট দেরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পর তারা সজাগ হয়েছে। তাদের এই দীর্ঘসূত্রতার কারণে ভারতীয় নাগরিকদের জীবন বিপন্ন হতে পারে। সেক্ষেত্রে মোদি সরকার কি তার দায়ভার নেবে? ক্ষমতার দখলের ৯ দিন পর ক্রমশই তালিবানদের মুখোশ খুলে পড়ছে। ইতিমধ্যেই মহিলাদের বেত্রাঘাত থেকে শুরু করে মার্কিন সেনাকে যারা সাহায্য করেছে তাদের খুঁজে বের করে চরম শাস্তি দেওয়ার পালা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন : জাতিভিত্তিক শুমারির দাবিতে মোদীর ওপর চাপ নীতীশের
দেশের ক্ষমতা হাতে তুলে নিলেও আপাতত পঞ্জশিরে ধাক্কা খেয়েছে জঙ্গিরা। পঞ্জশির দখল করতে জঙ্গিরা মরিয়া। পাল্টা দিচ্ছে নর্দান অ্যালায়েন্সও। উভয়পক্ষের এই লড়াইয়ে অ্যালায়েন্সের হাতে তালিবান জঙ্গি-সহ ৩০০-রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে খবর। একই সঙ্গে বেশ কিছুটা তালিব জঙ্গিকে বন্দি করেছে তারা। স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ সালেহ নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের এই প্রতিরোধের কথা জানিয়েছেন। পঞ্জশিরকে বাগে আনতে তালিবানরা নতুন উদ্যমে সেখানে আরও যোদ্ধা পাঠাচ্ছে।