হায়দরাবাদ : সামনে মেরি কমের মতো কিংবদন্তি বক্সার থাকায় তাঁর প্রতিটি পারফরম্যান্স যেন ঢাকা পড়ে যেত। গত বছরও টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় বক্সার হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন মেরি। কিন্তু ন্যায্য একটা সুযোগের দাবি জানিয়েছিলেন দক্ষিণী তরুণী নিখাত জারিন (Nikhat Zareen)। মেরি তখন কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক সুরেই জানতে চেয়েছিলেন, ‘‘কে এই মেয়ে?’’ প্রশ্নের উত্তর বৃহস্পতিবার রাতে জেনে গিয়েছে গোটা দেশ। নিজামাবাদের সোনার মেয়ের নাম সবার মুখে। কিন্তু বক্সিংয়ে নিখাতের বিশ্বসেরা হওয়ার নেপথ্যে অনেক লড়াইয়ের গল্প আছে। যা শুনিয়েছেন তাঁর বাবা মহম্মদ জামিল।
আরও পড়ুন: আমিরের প্রশ্ন, আইপিএলে সুযোগ আছে? ফুটওয়ার্ক ঠিক করো, পাল্টা শাস্ত্রীর
জামিল প্রাক্তন ফুটবলার এবং ক্রিকেটারও। বলছিলেন, ‘‘চার মেয়ের মধ্যে একজনকে অন্তত খেলোয়াড় হিসেবে গড়তে চেয়েছিলাম। সেজ মেয়ে নিখাতই বেশি গুরুত্ব পায় ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি বেশি আগ্রহ থাকায়। মেয়েকে তৈরি করতেই সৌদি আরবের চাকরি ছেড়ে নিজামাবাদে ফিরে আসি। নিখাতের (Nikhat Zareen) ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করি। কিন্তু অনেক প্রতিকূলতা ছিল। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের মেয়ে। খেলতে গেলে পরতে হবে হাফপ্যান্ট, গেঞ্জি। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুরা আপত্তি করত। বলত, ‘এই খেলা মেয়েদের নয়। এত ছোট পোশাক পরে মেয়েদের সকলের সামনে যাওয়া উচিত নয়। দরকার নেই খেলে।’ আজ মনে পড়ছে সেই লড়াইয়ের দিনগুলো।’’ মেয়ের সাফল্যে গর্বিত বাবা আবেগতাড়িত। জামিল বলেছেন, ‘‘নিখাতের এই সাফল্য দেশে মুসলিম মেয়েদের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা।’’ বিশ্বসেরা হয়ে নিখাতের ট্যুইট, ‘‘অবশেষে আমি এখানে। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের ফল ফেলাম। ভারত এটা তোমার জন্য। আমরা একসঙ্গে এই সাফল্য পেলাম।’’