প্রতিবেদন : সেনার সাফল্য। ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও খানিকটা উন্নত হল। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল নৌসেনা এবং ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (Defence Research And Development Organization) বা ডিআরডিও (DRDO)। এটাই প্রথম পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ওড়িশার বালাসোরে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। নৌসেনার সি কিং-৪২ হেলিকপ্টার থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। নৌসেনা এবং ডিআরডিও (DRDO) যৌথ উদ্যোগে এই পরীক্ষা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী উৎক্ষেপণ করল ভারত (India)।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের আশা নেই, গুজরাত–হিমাচলের ভোট নিয়ে মত পিকের
তথ্যাভিজ্ঞ মহল মনে করছে, চিনের কার্যকলাপের উপর নজর রেখেই ভারতীয় নৌবাহিনীতেও অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রণতরী যোগ করা হচ্ছে। এই সপ্তাহেই মুম্বইয়ের মাজাগাঁও বন্দর থেকে আইএনএস উদয়গিরি ও আইএনএস সুরাত নামে দুটি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Defence Minister Rajnath Singh)। অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র মজুত করে চিনকেই বার্তা দিচ্ছে ভারত। দক্ষিণ চিন সাগরে সম্প্রতি চিনের সক্রিয়তা অনেক বেড়েছে। চিনের গতিবিধির উপরে কড়া নজর রাখছে দেশের প্রতিরক্ষা দফতর। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ভারতীয় জলসীমায় কোনও ধরনের অনুপ্রবেশ মেনে নেওয়া হবে না। তবে চিন নৌবহর পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, জলদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই তারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌবহর পাঠিয়েছে।