প্রতিবেদন : আরও ১০ লক্ষেরও বেশি কৃষিজীবী ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছেন। এর ফলে রাজ্যের প্রায় ৯০ লক্ষ কৃষক ওই প্রকল্পের আওতায় চলে আসবেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
আগামিকাল থেকে রাজ্যে আবারও ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু হচ্ছে যা চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। সেখানে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের জন্য আবেদন নেওয়া হবে। গত খারিফ মরশুম পর্যন্ত রাজ্যের ৭৭ লক্ষ ৯৫ হাজার কৃষক ও ভাগচাষি ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন। পরবর্তীকালে আরও প্রায় ৯ লক্ষ নাম সেখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২ লক্ষ ৬৮ হাজার আবেদন বিবেচনাধীন। সেই হিসাবেই, মনে করা হচ্ছে চলতি বছরে খারিফ মরশুমে ৯০ লক্ষেরও বেশি কৃষক এবার ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছেন।
আরও পড়ুন-সবংয়ে এবার হচ্ছে মাদুর হাব
সেক্ষেত্রে চলতি বছরের জুন মাস থেকেই তাঁরা ওই প্রকল্পের আওতায় অর্থ সাহায্য পাবেন। ২০১৯ সালে এই কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। বছরে দু’বার, রবি ও খারিফ মরশুমের শুরুতে প্রকল্পের টাকা পান কৃষকরা। তবে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, জমির মালিকের পাশাপাশি ভাগচাষিরাও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়ে সুবিধা পাচ্ছেন। এখানেই কৃষকবন্ধু এগিয়ে কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চায়ী যোজনা বা পিএমকেএসওয়াই-এর থেকে।
আরও পড়ুন-কৃষ্ণদের আজ জিততেই হবে
গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই কৃষকবন্ধু। কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য তিনি সবসময় তৎপর। সেই দর্শনের কথা মাথায় রেখেই কৃষকবন্ধু প্রকল্পকে আরও বেশি কৃষকদের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কৃষকবন্ধু খাতে ২২১০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার। নতুন যোগ হওয়া উপভোক্তাদের জন্য আরও প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে। গত কয়েক বছরে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক কৃষি প্রকল্প বন্ধ করে বিপাকে ফেলেছে বহু কৃষিজীবীকে। সেখানে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পূর্ণ রাজ্যের খরচে এই কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালাচ্ছেন।’’