সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ছাত্রীর উদ্দেশে অশালীন ভাষা প্রয়োগ, গাড়িচাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ এবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তাঁর নির্দেশে নিরাপত্তাকর্মীরা ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে বলেও অভিযোগ করে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি নিয়ে শনিবার বিকেলে ই-মেইল করে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন ও তুলনামূলক ধর্ম বিভাগের গবেষক মীনাক্ষী ভট্টাচার্য। তার কপি জেলা পুলিশ সুপারকেও দেন।
আরও পড়ুন-আজ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন সিটি, আশা ছাড়ছেন না ক্লপও
অভিযোগ, ২০.০৫.২০২০ সন্ধেবেলা উপাচার্য যখন তাঁর অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় মীনাক্ষী ও কয়েকজন পড়ুয়া গাড়ি থামিয়ে তাঁর সঙ্গে কুয়েট (CUET-Central Universities Entrance Test) বিষয়ে কথা বলতে যান। মীনাক্ষী বিশ্বভারতীর টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি। মীনাক্ষী জানান, উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদন করলে তিনি দেখা করেননি। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে তাঁদের সমস্যার কথা বলতে চাইলে প্রত্যুত্তরে উপাচার্য বলেন, তাঁর মতো নোংরা মেয়ের সঙ্গে তিনি কোনও কথা বলতে চান না। এরপর তাঁর নির্দেশ মতো চালক পড়ুয়াদের ওপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দেয়। সময় মতো সরে না গেলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত। উপাচার্য বাসভবনে ঢুকে ছাপার অযোগ্য ভাষা ব্যবহার করে নিরাপত্তারক্ষীদের উপযুক্ত শিক্ষা দিতে নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর উপর চড়াও হয়। শ্লীলতাহানি করে। পুরো ঘটনাটি উপাচার্যের বাসভবনের গায়ে লাগানো সিসি টিভি ফুটেজে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন-গুঞ্জা পলাশ
উল্লেখ্য, চালককে ছাত্রীদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার মতো নির্দেশ আগেও দিয়েছেন। জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে বলেন, এ ব্যাপারে তাঁকে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে বলা হয়নি, তাই দিতে পারবেন না। উপাচার্য গতকাল সোমনাথ সৌ এবং মীনাক্ষী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বাসভবনে ফেরার পথে তাঁর রাস্তা আটকানোর অভিযোগ করেছেন পুলিশের কাছে।