সঞ্জিত গোস্বামী, পুরুলিয়া: একদিকে অসংখ্য ঝরনা, অন্যদিকে ঘন, সবুজ অরণ্য। অযোধ্যা পাহাড়ের (Ajodhya Pahar) বনাঞ্চলে ডুয়ার্সের মতো বর্ষাকালে জোঁকের উপদ্রবও নেই। প্রাক্ বর্ষায় তাই পর্যটকদের পাহাড় ভ্রমণের আহ্বান জানালেন বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। বর্ষার অযোধ্যা এখনও সেভাবে আলোচনায় উঠে আসেনি। বিধায়ক বলেন, ‘ঋতুভিত্তিক বদল ঘটে পাহাড়ি রূপের। আমরা বিষয়টি এবার প্রচারে আনব।’
কয়েকদিন আগে পাহাড় ও পাহাড়তলির কয়েকটি গ্রামে প্রবল ঝড়ের জন্য গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছিল। বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে রাতদিন কাজ করছেন দফতরের কর্মীরা। সেই কাজের তদারকি করছিলেন সুশান্ত। তিনি বলেন, এবার কোনও কারণে বুদ্ধপূর্ণিমার সেন্দ্রা বা শিকার উৎসবে সেভাবে পর্যটকেরা আসেননি। অনেকে ভাবেন, শীতকালেই পাহাড়ে যাওয়া যায়। তা ঠিক নয়। বর্ষার পাহাড় আরও বেশি আকর্ষণীয়।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে গুগল ডুডলে কুস্তিগীর গামা
পাহাড়ের (Ajodhya Pahar) বাসিন্দারাও বলছেন, টুড়গা, বামনি-সহ ঝরনাগুলিতে জলে ভরে গেলে পাহাড় অন্য মাত্রা পায়। রাঙা, কুচড়িরাখা, তেলিয়াভাসা থেকে পাহাড়তলির বেড়সা গ্রাম অবধি বহু মানুষ বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রামে যে কথা বলেছেন, তা একেবারে সত্যি। জঙ্গলমহলে কিছু অসাধু ব্যক্তি মাওবাদীদের নামে পোস্টার দিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে চলেছে। মানুষ সত্যিটা জানেন। তাই এত গরমেও পর্যটক আসছেন। বাসিন্দারাও চাইছেন, বর্ষার রূপ দেখতে পাহাড়ে আসুন পর্যটকেরা।