তথ্য বলছে পুলিশই ভক্ষক!

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য বলছে দেশের মধ্যে বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।

Must read

প্রতিবেদন : ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য বলছে দেশের মধ্যে বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এনসিআরবি-র সেই তথ্যে যে এতটুকু ভুল নেই বারেবারেই তার প্রমাণ মিলছে যোগীরাজ্যে। উত্তরপ্রদেশে পুলিশ রক্ষক নয়, যেন ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। যোগীরাজ্যে মে মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত আগ্রা জোনে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।

আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় কি এখন দুই মুখ্যমন্ত্রী? তোপ তৃণমূলের

চলতি মাসের ১৪ তারিখে চুরির অভিযোগে রাহুল চৌধুরি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল আলিগড় পুলিশ। কিন্তু হঠাৎ ওই তরতাজা যুবকের মৃত্যু হয় পুলিশি হেফাজতে। ঘটনার জেরে ওই যুবকের পরিবার সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে থানার ওসি-সহ ৬ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে খুনের মামলা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, হৃদ্‌যন্ত্র বিকল এবং হৃৎপিণ্ডে রক্ত জমে যাওয়া রাহুলের মৃত্যুর কারণ। পরিবারের দাবি, পুলিশের ব্যাপক অত্যাচার ও মারধরের কারণেই ২৮ বছরের রাহুলের হৃৎপিণ্ডে রক্ত জমেছে। একজন সুস্থ যুবকের হৃৎপিণ্ডে কীভাবে রক্ত জমল তা খতিয়ে দেখা হোক। যদিও আলিগড় পুলিশের দাবি, ১৪ মে রাহুল অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন-আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, প্রতিবাদে অনশন অসম তৃণমূলের

তবে পুলিশের যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে রাহুলের দেহ সৎকার করা হবে না বলে হুমকি দেয় তাঁর পরিবার। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দেন আলিগড় রেঞ্জের ডিআইজি দীপক কুমার। ডিআইজি জানান, এ ঘটনায় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার, দু’জন সাব-ইন্সপেক্টর ও তিনজন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই ছয় পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। উল্লেখ্য, এর আগে হাথরসে রাজকুমার সিং চৌহান নামে বছর ৫৫-র এক ব্যক্তির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়। তার কয়েকদিন পর বিজয়গড় থানায় ১৭ বছরের এক কিশোরী আত্মঘাতী হয়। ওই কিশোরীকে পাঁচদিন বেআইনিভাবে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছিল।

Latest article