প্রতিবেদন : এএফসি কাপের নকআউট পর্বে উঠতে হলে মঙ্গলবার মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টসের বিরুদ্ধে মোহনবাগানকে জিততে হবে, না ড্র করলেই চলবে তা রয় কৃষ্ণ, লিস্টন কোলাসোরা মাঠে নামার আগেই জেনে যাবেন। কারণ, ডি গ্রুপে বাকি দু’টি দল গোকুলাম কেরালা এফসি এবং বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান-মাজিয়া ম্যাচের আগে। সেই ম্যাচ আজ বিকেল সাড়ে চারটেতে শুরু। কৃষ্ণদের ম্যাচ শুরু রাত সাড়ে আটটা থেকে। কেন দু’টি ম্যাচ একই সময়ে নয়, তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন বসুন্ধরার কোচ অস্কার ব্রুজোন। একই অভিযোগ করে গোকুলাম ও মাজিয়াও।
আরও পড়ুন-শেষ আটে প্রজ্ঞানন্দ
বিকেলে গোকুলাম যদি বসুন্ধরাকে হারিয়ে দেয়, রাতে মোহনবাগান-মাজিয়া ম্যাচ নিয়মরক্ষার হয়ে যাবে। কারণ, গোকুলাম ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে এএফসি কাপের আন্তঃ আঞ্চলিক সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে। সেক্ষেত্রে রাতে মোহনবাগান জিতলেও গ্রুপ সেরা হতে পারবে না। যেহেতু মোহনবাগান ও গোকুলামের মধ্যে মুখোমুখি সাক্ষাতে কেরলের দলটি জিতেছে। তবে বিকেলে গোকুলাম হারলে বা ড্র করলে রাতে মোহনবাগান জিতে বা ড্র করেই নকআউটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। মাঠে নামার আগেই এই সুবিধা পেয়ে যাচ্ছ জুয়ান ফেরান্দোর দল।
আরও পড়ুন-শ্রমিক কল্যাণে সহায়তা কেন্দ্র পুরসভায়
কৃষ্ণদের কোচ অবশ্য বললেন, ‘‘এই ম্যাচে কৌশলের থেকে আবেগ বেশি কাজ করবে ফুটবলারদের মধ্যে। আমরা অঙ্ক নিয়ে ভাবছি না। তবে হ্যাঁ, মাঠে নামার আগে পরিস্থিতি জেনে যাওয়ার সুবিধা আমরা পাব। বসুন্ধরা জিতলে নক আউটে ওঠার লড়াইয়ে আমাদের কাজ সহজ হবে। কিন্তু গোকুলাম জিতলে আমাদের শুধু নিজেদের জন্য খেলতে হবে। এই নিয়ে আমরা কথা বলেছি। দেখা যাক কী হয়।’’
মাজিয়া দলটিকে প্রচণ্ড সমীহ করছেন জুয়ান এবং দলের সিনিয়র ফুটবলার প্রীতম কোটাল। স্প্যানিশ কোচের কথায়, ‘‘ওরা মালদ্বীপের এক নম্বর লিগের সেরা দল। ৪-০, ৫-০তে অনেক ম্যাচ জিতেছে ওরা। দলটি দ্রুত ওঠানামা করতে পারে। গত মরশুমের থেকে এবারের দলটা অন্যরকম। অনেক সংঘবদ্ধ ফুটবল খেলে।’’ প্রীতম বললেন, ‘‘গতবারের থেকে এই মাজিয়া অনেক শক্তিশালী।’’