প্রতিবেদন: বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ সরকারি টাকার অপব্যবহার রুখতে মঙ্গলবার কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন রাজ্যের সমস্ত পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধানদের নিয়ে এক বৈঠকে এই নিয়ে সতর্ক করলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, “আম জনতার জন্য নানা সরকারি প্রকল্পে মুখ্যমন্রীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে টাকা বরাদ্দ করছেন তা সেই খাতেই খরচ করতে হবে। সরকারি টাকার যথাযথ ব্যবহারও করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে জনগনের টাকা এবং তহবিলের যেন অপব্যবহার না হয়।”
আরও পড়ুন-বাংলায় শূন্য, এবার দলের মধ্যেও শূন্য
অভিযোগ উঠছে, অনেক পুরসভা পানীয় জলপ্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকা পার্ক অথবা অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোয় খরচ করছেন। সেই সঙ্গে পুরসভাগুলিকে তাঁর নির্দেশ, মানুষের নূ্ন্যতম প্রয়োজন যেমন, রাস্তা—জল—নিকাশির উপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি পুরসভাকে আয় বাড়ানোরও পরামর্শ দেন তিনি। আগামীদিনে রাজ্য সরকার যে বেশ কিছু খাতে আর টাকা মঞ্জুর করবে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। পুর নির্বাচনের পর এই প্রথম রাজ্যের সমস্ত পুরসভাগুলির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক করলেন পুরমন্ত্রী। নিউটাউনের বিশ্ববঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প নিয়ে আইন পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন তিনি।
আরও পড়ুন-পেট কেটে বের হল ৮ কেজি টিউমার
কারণ, এই প্রকল্প নিয়ে অতীতে অনেক অভিযোগ উঠেছে। তা রুখতে এবার উপভোক্তাদের তরফে কুড়ি হাজার টাকা জমা দেওয়া নিয়ে আইন পরিবর্তনের কথাও বলেন তিনি। এছাড়াও অনলাইনে বাড়ির প্ল্যান অনুমোদন এবং মিউটেশনের সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়। এ নিয়ে পুরসভাগুলি পুরমন্ত্রীকে তাঁদের সমস্যার কথা জানায়। ওই বিষয়গুলি নিয়ে ক্যাবিনেটে প্রস্তাব পাশ করিয়ে বিধানসভায় আইনি সংশোধন করার আশ্বাসও দেন তিনি। সমস্ত নথি সহ বাড়ির প্ল্যান জমা পড়ার ১৫দিনের মধ্যেই তা অনুমোদনের নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী। জলাশয় সংরক্ষণ নিয়েও এদিন কড়া বার্তা দেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, এই কাজ করার জন্য প্রশাসনের কারোর সঙ্গে যদি লড়াই করতে হয়, সেটাও আমরা করব।