নিমতিতা বিস্ফোরণে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারার উল্লেখ এনআইএ চার্জশিটে। মঙ্গলবার, এনআইএ ওই ঘটনায় দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় । সেখানেই ইউএপিএ ধারার কথা উল্লেখ করেছে এনআইএ। ১৭ ফেব্রুয়ারি নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণে মারাত্মক আইডি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণ মিলেছে । সেই কারণেই সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাতের শহরের নিরাপত্তা বাড়াতে এবার কলকাতা জুড়েই পুলিশের সিসিটিভি
নিমতিতা বিস্ফোরণে সিআইডি তদন্ত প্রথমে শুরু করে । পরে যদিও তদন্তভার এনআইএ নেয়। ওই বিস্ফোরণে মারাত্মক জখম হন প্রাক্তন মন্ত্রী ও বর্তমান বিধায়ক জাকির হোসেন। আরও ২৭ জন এই ঘটনায় আহত হন। ঘটনায় তদন্তকারীরা শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন । তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় এবং বেশ কিছু নথি এবং বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।
রাজ্যের তরফে স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে এর পরেই প্রশ্ন তোলা হয়। স্টেশনে আলো ছিল না কিন্তু সেই কথা অস্বীকার করে রেল। বলা হয়, ঘটনার সময়ে স্টেশন অন্ধকার ছিল না। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের বিস্ফোরণে আলো নিভে যায়। সিসিটিভি বা আরপিএফ নজরদারিও ছিল। এরপর তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ।
আরও পড়ুন- মঙ্গলের বুকে পৃথিবীর গাড়ি
তদন্তে নেমে এনআইএ প্রাথমিক অনুমান করে, রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে খুন করার উদ্দেশ্যেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ফলে সিআইডির দেওয়া খুনের চেষ্টার মামলা এবং বিস্ফোরক মামলার সঙ্গে এনআইএ ইউএপিএ ধারা যোগ করে । রেল পুলিশের বেশ কয়েকজন আধিকারিক এবং রাজ্যের সিআইডি’র বেশ কয়েকজন আধিকারিককে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন- মঙ্গলের বুকে পৃথিবীর গাড়ি
এ প্রসঙ্গে জাকির হোসেন জানিয়েছেন, “এনআইএ তদন্ত করছে। দ্রুত দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। এলাকায় এখনও আতঙ্ক রয়েছে। তদন্ত না হলে আইন-শৃঙ্খলা আরও খারাপ হবে”।