প্রতিবেদন : সাপের কামড়ের চিকিৎসায় ট্যাবলেটের ব্যবহার। নাম ভারেসপ্ল্যাডিব মিথাইল। ওই ওষুধ প্রয়োগে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেলেন রোগী। পূর্বভারতে প্রথম ট্রায়ালেই সফল কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। গত ১০ মে হাওড়ার আমতা থেকে সাপেকাটা এক যুবককে আনা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। ট্যাবলেটের প্রয়োগের পরে বুধবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ওই রোগী। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘আগে ৪০টি অ্যান্টি স্নেক ভেনম ইনজেকশন দিয়েও রোগীকে অনেক সময় বাঁচানো যেত না।
আরও পড়ুন-বন্ধ পাওয়ারলুম সরব তৃণমূল
এখন এই ট্যাবলেট এবং ২০টি আন্টি ভেনম ইনজেকশনে রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন এটা অনেক বড় সাফল্য।’’ উল্লেখ্য, আমেরিকায় প্রথমবার এই ট্যাবলেট সফল হওয়ার পর সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়। এই মুহূর্তে মার্কিন মুলুকের ৪টি এবং ভারতের ৪টি হাসপাতালে এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। দেশের চারটি গবেষণা কেন্দ্র হল, কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, রাজস্থানের এস পি মেডিক্যাল কলেজ, পণ্ডিচেরির জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ। ডাঃ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাপের কামড়ের পর ১০০ মিনিট সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাম থেকে কোনও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেতই এই সময় অতিক্রান্ত হয়ে যায়। রোগীর মৃত্যু ঘটে। কিন্তু এই ট্যাবলেট সমস্যার সমাধান।’’