সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : উন্নয়নের টান, দিদির টান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কর্মিসভায় যোগ দিয়ে উন্নয়নের বার্তা শুনতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন দুই জনপ্রতিনিধি। বৃহস্পতিবার। সাঁতুড়ি ব্লকের বালিতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুনুড়ি গ্রামে প্রস্তুতিসভায় তৃণমূলে যোগ দিলেন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা বুলটি বাউড়ি। রঘুনাথপুরের এক অতিথি আবাসে প্রস্তুতিসভায় যোগ দিলেন রঘুনাথপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর জয়দেব বাগদি।
আরও পড়ুন-নারীবিদ্বেষী বিজেপি
দুটি ক্ষেত্রেই নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া।
পঞ্চায়েত থেকে গত বিধানসভা ভোট, পুরুলিয়ার যে সব এলাকায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মিসভায় সেই এলাকাগুলি থেকেই বেশি মানুষ যোগ দেবেন। প্রস্তুতিসভায় ভিড় দেখে মন্তব্য করলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধ এবং বৃহস্পতিবার বেছে বেছে সেইসব এলাকায় প্রস্তুতিসভা করেছেন, যেখানে বিজেপি মাথা তুলেছিল। রঘুনাথপুর থেকে বরাবাজার সব জায়গায় ব্যাপক ভিড় হয়েছে। জেলা স্তরের সমস্ত নেতা ছিলেন। দলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, চেয়ারম্যান হংসেশ্বর মাহাতো, প্রাক্তন মন্ত্রী, দলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্তিরাম মাহাতো— সকলেই ছিলেন সভাগুলিতে। সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় তো ছিলেনই।
সুজয় বলেন, আমাদের ভুলেই মানুষ অভিমানে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। তাঁরা দেখেছেন, যেখানে তৃণমূল হেরেছে, সেখানেও তারা সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে। বরাবাজারে দাঁড়িয়ে বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে এখানে দশটি পঞ্চায়েতের সবক’টিই পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে। দেখিয়ে দেবে বরাবাজার।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরা : জিততে ঝাঁপাবে তৃণমূল
রঘুনাথপুর, পাড়া ও কাশীপুর- তিনটি বিধানসভা আসনেই বিজেপির বিধায়ক। ভোটের পর থেকে তাঁদের এলাকায় দেখা যায় না। ভরসা সেই তৃণমূল কর্মীরাই। মানুষ এবার ভুল শোধরাতে ৩১ মে দলে দলে পুরুলিয়া শহরে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মিসভায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।