প্রতিবেদন : রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রেড রোডে দুর্গাপূজার কার্নিভাল আয়োজন করে মুখ্যমন্ত্রী এই বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবকে একটি আন্তর্জাতিক উৎসবে পরিণত করেছেন। এবার বাঙালিদের সেই মহোৎসব বিশ্বের মানচিত্রে আন্তর্জাতিক উৎসবের তালিকা “মেগা ফেস্টিভ্যাল” নথিভুক্ত হবে? তারই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য ফের উদ্যোগ নিল নবান্ন।
আরও পড়ুন : নিশীথকে কড়া জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেসের
UNESCO বিশ্বের ঐতিহ্যশালী আন্তর্জাতিক উৎসবের তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে সামিল করা হয়। দু’বছর আগে আন্তর্জাতিক চ্যানেল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজোকে “মেগা ফেস্টিভ্যাল”র খেতাব দিয়েছিল। এমন কী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মস্তিষ্কপ্রসূত “বৈচিত্রের মাঝে ঐক্য”র ভাবনা নজরে কেড়ে ছিল UNESCO কর্তাদের। এবং সেবারই UNESCO-এর কাছে শারদোৎসবকে আন্তর্জাতিক উৎসবের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল। যদিও শেষমেশ সেই আবেদনের সাড়া দেয়নি UNESCO।
আরও পড়ুন :সিপিএম মুখ্যমন্ত্রীর নাতির কণ্ঠে নিপীড়িত মানুষের গান
এবার তাই পুজোর আগে রাজ্যের পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে ফের আবেদন জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে। বাংলার দুর্গা পূজাকে ঐতিহ্যশালী আন্তর্জাতিক উৎসবের তকমা দেওয়ার প্রয়াস কতটা সফল হবে সেটা তো সময়ই বলবে। কিন্তু কোনও স্বীকৃতি ছাড়াই যে বাঙালিদের এই উৎসব বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় তার টের পাওয়া যায় দুর্গাপূজার সময়। যখন বিশ্বের সমস্ত ডিজিটাল মিডিয়ার নজর বাংলার দিকে থাকে।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬টি দেশ UNESCO-এর এই তকমা পেতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, ফ্রান্স, বলিভিয়া, বেলজিয়াম ও সুইজারল্যান্ড-এর মত দেশগুলি। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর দেশের তালিকায় এবং ঐতিহ্যশালী আন্তর্জাতিক উৎসবের তালিকায় এই দেশগুলির নাম রয়েছে।