এই কথা আজ প্রথম নয় আগেই বলেছেন তিনি। কাজ ফেলে রাখা যাবে না। কিন্তু প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই বার্তা দেওয়ার পরেও, জেলায় গিয়ে কাজে অনেক রকম অভিযোগ শুনতে হচ্ছে। এর পরেই প্রচন্ড ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, ”আমার দলের লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম”। আর মঙ্গলবার, বাঁকুড়ায় (Bankura) কাজ ফেলে রাখার অভিযোগ পেয়েই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “৮ বছর ধরে জলপ্রকল্পের কাজ পড়ে রয়েছে কেন?” মমতা এরপর বলেন, “সংশ্লিষ্ট বিভাগের কান মুলে দেওয়া উচিত।”
আরও পড়ুন-বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে কিষান মান্ডিতে গরমিল নিয়ে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বাকি থাকার অভিযোগ আগেই পান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে একের পর এক খতিয়ান তুলে ধরেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি কর্মচারীদের একাংশের বিরুদ্ধেই কাজে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৪-৫ বছর ধরে অনেক কাজ পড়ে রয়েছে। দ্রুত সেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকারি কর্মচারীদের একাংশ কাজ করবে না। মানুষকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবে। আর বদনাম হবে রাজ্য সরকারের। লোকে বলবে তৃণমূল কোনও কাজ করছে না।“
আরও পড়ুন-নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধির মধ্যেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের
“টেন্ডারে স্বজনপোষণ চলছে”-বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি কাজের টেন্ডার কেন পড়ে রয়েছে? এনিয়ে ৭ দিনের মধ্যে বাঁকুড়ার সভাধিপতির কাছে রিপোর্ট দিতে বলেন কর্মাধ্যক্ষকে।
যে সমস্ত দীর্ঘদিন ধরে কাজ ফেলে রেখেছে, কাজ শুরু করার পরে বেসি টাকা দাবি করছে তাদের ব্ল্যাকলিস্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন-বাঁকুড়ায় পর্যটনে জোর, একনজরে দেখে নেওয়া যাক কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী
সব মিলিয়ে সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে রীতিমতো ধমক শোনেন সরকারি আধিকারিক থেকে কর্মাধ্যক্ষরা। সর্ব স্তরে কাজ সঙ্গে সঙ্গে শেষ করা নির্দেশ দেন তিনি। ২১ কোটি টাকার প্রজেক্ট, আট বছর ধরে পড়ে আছে। মুকুটমণিপুরে কালচালার ভবন হয়নি। একের পর এক প্রকল্পের তালিকা ধরে বলতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। সব কটিই ৫ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে আছে। ৩৪টি প্রকল্পের তালিকা জেলাশাসকের কাছে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির হাতে কাজ দেবেন না। আপনারা দফতর থেকে কাজ করুন, ওরা টেন্ডার করতে দেরি করে। ওরা নিজেদের লোকদের ছাড়া টেন্ডার দেয় না। ওদের হাতে কাজ দেবেন না। ওদের ইঞ্জিনিয়ার কম, ওদের লোক সংখ্যা কম, ওদের হাতে কাজ দেবেন না।“