প্রতিবেদন : ‘‘ছোট্ট মেয়ের দেহটা চোখের সামনে পুড়ে যাবে। এটা দেখতে পারব না। বরং সমাজের কাছে লাগুক। অনেকের মধ্যে বেঁচে থাকুক আমাদের শ্রীতমা (Sritama)।’’ ১০ বছরের মেয়েকে হারিয়ে কষ্ট চেপে রেখে দেহদানের সিদ্ধান্ত নিলেন বাবা-মা। প্রায় ৬ বছর ধরে ‘ব্রেন স্টেম গ্লায়োমা অ্যান্ড সেরিবেলা স্পাইন এক্সটেনশন’-নামে একটি দুরারোগ্য ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করছিল। রবিবার সকালে হাওড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় ছোট্ট শ্রীতমার (Sritama)। এরপরই তার বাবা-মা দেহদানের সিদ্ধান্ত নেন। সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে অ্যানাটমি বিভাগে শ্রীতমার দেহ দান করা হয়। তার কর্নিয়া সংগ্রহ হয়েছে। বাংলা-সহ পূর্ব ভারতের সর্বকনিষ্ঠ দেহদানের নজির এটি। মিশন ইন্টারন্যাশনাল বোধোদয় স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শ্রীতমা বেড়াতে যেতে খুব ভালবাসত। সাড়ে তিন বছর বয়সে এই রোগে আক্রান্ত হয়। তার বাবা-মা নারায়ণ মণ্ডল ও মঞ্জুশ্রী বাজানি মেয়ের চিকিৎসার জন্য বহু জায়গায় দৌড়েছেন। কিন্তু কোথাও তাঁরা আশার কথা শুনতে পাননি। ঘটেনি কোনও মিরাকেলও। বাবা-মাকে একা রেখে চলে গেল শ্রীতমা। নারায়ণ এবং মঞ্জুশ্রী তাঁদের মেয়ের দেহটি অযথা নষ্ট করতে চাননি। মেয়ের মৃত্যুর পর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেননি তাঁরা।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় এবার ছয় বিল আসছে