নয়াদিল্লি : কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই যে ক্রমশই শাসক দলের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে তা বিভিন্ন সময় আদালতের বিচারকদের মন্তব্যেই প্রকাশ পাচ্ছে। গত ১৭ মে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরমের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এস ভাস্কররমনকে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। ওই ব্যক্তির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে দিল্লির বিশেষ আদালতের বিচারক এম কে নাগপাল বলেছেন, মনে হচ্ছে যেন শুরু থেকেই তদন্তকারী সংস্থা এই মামলায় আবেদনকারীকে গ্রেফতারির উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করেছে। প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ না করে তাঁকে গ্রেফতার করাই যেন উদ্দেশ্য ছিল সিবিআইয়ের।
আরও পড়ুন-বাজওয়ার দিন শেষ?
নিয়ম লঙ্ঘন করে চিনা নাগরিকদের ভিসা সংক্রান্ত একটি মামলার সূত্রেই আদালতের এই পর্যবেক্ষণ। জামিন মঞ্জুর করে আদালত এও বলেছে, এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিশেষ আদালতের বিচারক এম কে নাগপাল বলেছেন, তদন্তকারী সংস্থা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১-এ (১) এবং ৪১-১ (বি) ধারা একত্রিত করার সময় স্মার্ট খেলার চেষ্টা করেছে। তদন্তকারী অফিসার এই ধারা প্রয়োগ করে তখনই ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার করতে পারেন যখন কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ বা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রমাণ করা যায়।
আরও পড়ুন-ইউক্রেনের পক্ষে থাকায় শাস্তি রুশ বাহিনীর, তিন বিদেশি সেনাকে মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা
যদি নিশ্চিতভাবে এমন কোনও সন্দেহ থাকে যে এমন অপরাধ করা হয়েছে যার শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত হতে পারে, শুধুমাত্র তখনই এই পদক্ষেপ নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে দুটি ধারার একত্রিত করার আদৌ কোনও প্রয়োজন ছিল না। আদালতের মনে হচ্ছে যেন শুরু থেকেই তদন্তকারী সংস্থা যেন গ্রেফতারের উদ্দেশ্য নিয়েই এগিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বটি গৌণ ছিল।