কেন্দ্র সরকার খুব ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘উজালা’ প্রকল্প চালু করে, গ্রামের মহিলাদের কয়লা, গুল, ঘুঁটে, কাঠের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে। রান্নাঘরে চলে আসে গ্যাস। তারপর লাগামছাড়া গ্যাসের দামের ধাক্কায়, প্রথম ভুক্তভোগী ওই গ্রামের মহিলারাই। তাঁরা রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার সাজিয়ে রেখে বাধ্যত ফিরেছেন কাঠ-ঘুঁটের যন্ত্রণায়। মানে আবার ফিরছে উনুন, ধোঁয়া, দূষণ, বাড়ির মহিলাদের কঠিন অসুখ। গ্যাস পেয়ে অল্প কিছুদিন গৃহিণীদের মুখে হাসি ফুটেছিল, গ্যাসে রান্নায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর জঙ্গিপুর থেকে সীমান্তবর্তী সুতি, রঘুনাথগঞ্জ গ্রামীণ এলাকায় গরিব মানুষের রান্নাঘরেও সিলিন্ডারের দেখা মিলত। কিন্তু গত কয়েক মাস রান্নার গ্যাসের দাম লাগাতার বেড়ে চলায় চিলেকোঠায় অযত্নে পড়ে থাকা ঘুঁটে-কাঠের মাটির উনুন নেমে এসেছে রান্নাঘরে। ফাঁকা সিলিন্ডার ঘরের কোণে। সুতি থানার হিলোড়া গৃহবধূ পল্লবী ঘোষ দশ বছর ধরে রান্নার জন্য গ্যাস ব্যবহার করছিলেন। গত তিন মাস মাটির উনুনে রান্না করছেন। বললেন, সিলিন্ডারের দাম এতটাই বেড়েছে যে, তা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তিনমাস আগে গ্যাস ফুরিয়েছে। তবু বুক করিনি। কষ্ট করে মাটির উনুনেই রান্না করছি।
আরও পড়ুন- দ্বিগুণ পেনশন প্রাক্তনদের