রাজনৈতিক হিংসাকে কেন্দ্র করে ফের রক্তাক্ত ত্রিপুরা। উপনির্বাচনের আগে অব্যাহত গেরুয়া সন্ত্রাস। বল্লভ, বর্শা, তরোয়াল, ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাতের অন্ধকারে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সদ্য তৃণমূলে যোগদান করা একটি পরিবারের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনা ধলাই জেলার সুরমায়। এই সুরমাতেই আগামী ২৩ জুন উপনির্বাচন। যেখানে প্রচার করতে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই বিজেপির এমন তাণ্ডব। অভিষেকের প্রচার আটকাতে একটি সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এমনটাই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন অত্যন্ত দরিদ্র খেটেখাওয়া পরিবারের কর্তা। নাম ব্রজবল্লব মালাকার (৫৫)। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। বুধবারই ব্রজবল্লববাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দেন। সেই আক্রোশ থেকেই হামলা বলে অভিযোগ। ব্রজবল্লব মালাকার ছাড়াও তাঁর দুই ছেলে অবিনাশ ও দিবাকরক এবং ৮ বছরের নাতির উপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। ৮ বছরের তাপস মালাকারকেও রেহাই দেয়নি বিজেপির দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন- বিধানসভায় সরব হলেন মন্ত্রী
খবর পেয়ে সুরমার স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা মালাকার পরিবারকে বাঁচাতে যায়। পুলিশে খবর দেওয়া হলেও তাঁরা পৌঁছতে অনেক দেরি করেন বলে অভিযোগ। এরপর অবশ্য পুলিশের গাড়ি করেই জখম সকলকে কোলাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসা চলছে আহতদের। পরিবারের দাবি, হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে তাঁরা চিনতে পেরেছেন। সেই ব্যক্তি এলাকায় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুবল ভৌমিক। তিনি বলেন, “বিজেপি বুঝতে পেরেছে তাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। এদিন সুরমায় তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে যে বিরাট জনসমাগম হয়েছে এবং অন্যান্য দল থেকে যোগদান হয়েছে, তা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। এবং হাড়ের ভয় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে। এর আগেও বিজেপির বাইক বাহিনীর তান্ডব নিয়ে আমরা জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু সেভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ত্রিপুরা উপনির্বাচনে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করাতে হলে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় ভোটের নামে প্রহসন হবে এ রাজ্যে।”