ত্রিপুরায় (Tripura- AITC) জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার ছবি প্রকাশ্যে। উপনির্বাচনের প্রচারের মধ্যেই এবার প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মহিলা প্রার্থীর উপর হামলা চালাল বিজেপির গুন্ডারা। আক্রান্ত হয়েছেন ৮-টাউন বড়দোওয়ালি কেন্দ্রের প্রার্থী সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি বাড়ি প্রচারে বেরোলে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। তৃণমূলের স্থানীয় নেত্রী চন্দনা সরকারকে শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে গেরুয়া বাহিনীর গুন্ডারা। এই ঘটনায় বটতলা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে ৬, আগরতলা কেন্দ্রের প্রার্থী পান্না দেবের গাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রচারে বেরিয়ে স্ট্রিট কর্নার মিটিংয়ে যাওয়ার সময় পান্না দেবকে কার্যত জোর করে নামিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সাংসদ। এক্ষেত্রেও শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করা হয় তৃণমূলের মহিলা কর্মী সমর্থকদের। পান্না দেবের অভিযোগ, মণ্ডল সভাপতির নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী তাঁদের উপর হামলা চালায়। যাতে প্রচারে বাধা সৃষ্টি করতে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কিন্তু তাতেও আটকানো যায়নি তৃণমূলের প্রচার। পায়ে হেঁটে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন ৬, আগরতলার তৃণমূল প্রার্থী।
আরও পড়ুন: সিপিএম গিয়ে বিজেপি এলেও সামান্য বৃষ্টিতে ত্রিপুরাবাসীর জলযন্ত্রণার ছবিতে বদল নেই
এই ঘটনায় পান্না দেবকে সঙ্গে নিয়ে এনসিসি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সাংসদ সুস্মিতা দেব। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই তৃণমূলের প্রচারে ভয় পেয়ে কাপুরুষের মতো হামলা চালাচ্ছে বিজেপির গুন্ডারা। সুস্মিতা দেব প্রশ্ন তোলেন, যেখানে বিরোধী দলের মহিলা প্রার্থীরাই আক্রান্ত, সেখানে সাধারণ মানুষ কতটা সুরক্ষিত? প্রশাসন উদাসীন। একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েও সমাধান নেই। কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব ত্রিপুরায় (Tripura- AITC)?
একটি উপনির্বাচন, যেখানে বদলাবে না সরকার, সেই ভোটেই যদি বিজেপির হাড়ে কাঁপুনি ধরে যায় তাহলে তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া বাহিনীর বিদায় ঘণ্টা যে বেজে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন: নিঃশব্দে কাজ করার খতিয়ান প্রকাশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, দেখে নিন একনজরে