নয়াদিল্লি : উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে চরম অমানবিক কাজের অভিযোগ উঠল। একইসঙ্গে উঠল আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগও। ২০২০ সালের প্রথমদিকে করোনা ঠেকাতে হঠাৎই গোটা দেশে লকডাউন জারি করেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। লকডাউনের ফলে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ট্রেন-বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে কেউ কেউ বাইকে করে নিজেদের বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীকে আম পাঠালেন হাসিনা
চরম দুর্দশায় পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের পথ আটকায় যোগী সরকার। নাকা তল্লাশির নামে শ্রমিকদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের শেষ সম্বল সাইকেল বা বাইক। পরে ফিরিয়ে দেওয়া হবে এই আশ্বাস দিয়ে শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছিল একটি করে টোকেন। হাতেগোনা কয়েকজন শ্রমিক সাইকেল বা বাইক ফিরিয়ে নিয়ে যান। দূরত্বের কারণে আর অর্থাভাবে বেশিরভাগ শ্রমিকই আর নিজেদের বাইক বা সাইকেল ফিরিয়ে নিতে আসেননি। শ্রমিকদের ফেলে যাওয়া সেই বাইক ও সাইকেল বিক্রি করেই কয়েক কোটি টাকা আয় করল যোগী সরকার। তবে নিলাম করে পাওয়া অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে তার সদুত্তর মেলেনি। তথ্য জানার অধিকার আইনে প্রশ্ন করে এক সংস্থা এই তথ্য পেয়েছে।
আরও পড়ুন-কথাবার্তার মাধ্যমেও ছড়ায় করোনাভাইরাস
কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলা প্রশাসন বাজেয়াপ্ত করা সাইকেল ও বাইক বিক্রি করে ২১ লক্ষ টাকা ঘরে তুলেছে। গোটা রাজ্যের নিরিখে নিলাম করে পাওয়া অর্থের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। সাহারানপুরের জেলাশাসক অখিলেশ সিং বলেছেন, পড়ে থেকে ওই সাইকেল ও বাইকগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। সে কারণেই তা নিলাম করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকরা কী অবস্থায় পড়েছিলেন তা গোটা দেশ জানে। শ্রমিকদের কষ্টার্জিত অর্থের পয়সায় কেনা সাইকেলটিও শেষ পর্যন্ত ছিনিয়ে নিলেন গেরুয়াধারী যোগী।