নয়াদিল্লি : হাজারো সমস্যায় জর্জরিত দেশ। সেই সব সমস্যার সমাধান নয়, মোদি সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হল গৈরিকীকরণ। আশঙ্কা একটা ছিলই, এবার তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠ্যক্রমেও গেরুয়াকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২০২০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরির মধ্যে দিয়ে এই প্রক্রিয়ার শুরু। নতুন শিক্ষানীতিতে দেশের স্কুল শিক্ষার পাঠ্যসূচিতেও পরিবর্তন হচ্ছে। কার্যত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর তত্ত্বাবধানে ও পরামর্শমতোই এই পরিবর্তন হচ্ছে।
আরও পড়ুন-আরও ঘোরালো অসমের বন্যা পরিস্থিতি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪
পাঠ্যক্রমে এই পরিবর্তনের জন্য যে ২৫টি ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (এনসিএফ) গোষ্ঠী গঠন করা হয়েছিল তার মধ্যে অন্তত ১৭টিতে আরএসএস-এর ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাবিদরা রয়েছেন৷ স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের জাতীয় সহ-আহ্বায়ক থেকে শুরু করে বিদ্যা ভারতীর প্রধান পর্যন্ত ২৪ জন সদস্য আরএসএস -এর সঙ্গে যুক্ত। সংঘ ঘনিষ্ঠদের পরামর্শ মেনে পাঠ্যক্রম থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে ইতিহাসের অনেক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। পাশাপাশি সংঘের পরামর্শ মেনে বেশ কিছু জিনিস যোগ করা হচ্ছে। ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরিরঙ্গনের নেতৃত্বাধীন ১২ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটির নেতৃত্বে পাঠ্যক্রম সংশোধন করা হচ্ছে। স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করেছে ২৫টি এনসিএফ। সংঘ ঘনিষ্ঠ লোকজনে ভর্তি এনসিএফের পরামর্শ মেনেই পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করা হবে।