প্রতিবেদন : একুশের ভোট ময়দান ‘খেলা হবে’ স্লোগানে উত্তাল হওয়ার পর এবার দুর্গাপুজোর আঙিনায় পা রাখছে ওই ‘খেলা হবে’৷ তবে পুজোর আসরে এটি আর স্লোগান নয়, বদলে গিয়েছে থিম-এ৷ মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতির দুর্গোপুজোর মণ্ডপের থিম এবার ‘খেলা হবে’। পুজোকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘খেলা হবে’ থিমের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। খেলা-ই এখানে মূল কথা। পুজো উদ্যোক্তাদের ব্যাখ্যা, খেলার আবহে দেবী দুর্গার পুজো হলে কেমন হত? এই ভাবনাকেই ভিত্তি করে এবার ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতির থিম ‘খেলা হবে।’ সবুজ মাঠে খেলার পটভূমিতে আবির্ভূতা হবেন দেবী।
আরও পড়ুন : ভ্যাকসিন কাণ্ডের সাক্ষী সাংসদ মিমি
একচালার প্রতিমা৷ মা আসবেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল দলের খেলোয়াড়দের কাঁধে চেপে৷ সামনে থাকবেন পাহারাদাররা। খেলার পরিবেশ ফুটিয়ে তুলতে ওই পাহারাদারের মধ্যেই বর্শা হাতে থাকবেন অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া। মণ্ডপ জুড়ে থাকবে বিভিন্ন খেলার সরঞ্জাম। থাকবে প্রায় বিলুপ্ত হওয়া বিভিন্ন খেলা। পুজো কমিটির এক কর্তা বলেছেন, “করোনা পরিস্থিতিতে শিশুরা এখন ঘরবন্দি। তাদের কাছে খেলা মানে এখন মোবাইল গেম। কিন্তু খেলার অর্থ মাঠে নেমে খেলা। এই ভাবনা থেকেই আমাদের এই থিম৷’’ তিনি বলেছেন, “এবার ১৬ অগাস্ট ‘খেলা হবে দিবস’ পালনের সময় ঠিক করলাম পুজোতেও ‘খেলা হবে’ বিষয়টি ব্যবহার করব। পুজোয় অনেক চমক অপেক্ষা করছে।” ভবানীপুরের এই পুজোর থিমশিল্পী সৌমেন ঘোষ প্রতিমা গড়ছেন। কাজ চলছে তাঁর ডুমুরজলার ওয়ার্কশপে৷ শিল্পীর কথা, “আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনেপ্রাণে খেলা ভালবাসেন। তাঁর জন্যই আজ ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলতে পারছে। খেলার প্রতি তাঁর ভালবাসাকে মানুষের সামনে তুলে ধরতেই এই প্রচেষ্টা।’’