ত্রিপুরায় (Tripura) মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে সরকার ফেলে দিয়ে নতুন ভাবে মানুষের রায় নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ত্রিপুরায় উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণতন্ত্র লুণ্ঠনের এক কুৎসিত ছবি দেখলো গোটা দেশ। যেখানে বিরোধী দল, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। সুরক্ষিত নয় পুলিশও। আক্রান্ত সাংবাদিককরা। প্রহৃত প্রবীণ নাগরিকরাও। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ (Tripura- Kunal Ghosh) বলেন—
ত্রিপুরায় চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। গতকাল রাত থেকে আজ ভোটের দিন সন্ত্রাস, রিগিং, ছাপ্পা দিয়েছে বিজেপির গুন্ডারা।
ভোট লুঠ করতে আসা গুন্ডারা ছুরি মারছে পুলিশকে। যিনি পরিবার নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। ত্রিপুরায় পুলিশ সুরক্ষিত নয়। বিজেপি বুঝতে পেরেছে তাদের পায়েরতলায় মাটি নেই। ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করেছে। পুলিশ ডিউটিতে গেলে কাজ করতে দিচ্ছে না। আর ভোট দিতে গেলে ছুরি মারছে। এটা ত্রিপুরায় বিজেপির গণতন্ত্রের কলঙ্ক। গণতন্ত্রের লজ্জা। যে রাজ্যের পুলিশকে ছুরি খেতে হয়, সেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু থাকে?
আরও পড়ুন: WBPS-WBCS-এ ২০০ নিয়োগ, আর কী কী ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী?
ত্রিপুরার সাংবাদিকরাও আক্রান্ত। সত্যি ঘটনা তুলে ধরতে যাওয়ার মারধর করা হয় সাংবাদিককে। মোবাইল, ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
বয়স্ক পরিবর্তনকামী মানুষকে বুথ পর্যন্ত আসতে দেওয়া হয়নি। বিজেপির নির্দেশে দুষ্কৃতীদের হাত ধরে ভুতুড়ে ভোটার ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে ছাপ্পা চলেছে বুথে বুথে।
তৃণমূলের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রার্থী আক্রান্ত, কর্মী আক্রান্ত, সাধারণ মানুষ আক্রান্ত। গাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে। বাইক বাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কোথায় মানবাধিকার কমিশন? কোথায় এখন ৩৫৬ ধারার হুমকি? কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কমিশন এখন কোথায়?
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। আমারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। ত্রিপুরায় ভোট হয়নি। বিজেপির নৈতিক পরাজয় হয়েছে। অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সরকার ফেলে দিয়ে নতুন করে মানুষের রায় নেওয়া।
ত্রিপুরায় বাস্তবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদল হয়নি, মুখোশ বদল হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’বার উপনির্বাচনের প্রচারে যেতেই বিজেপির ভিত নড়ে গিয়েছে। ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে সরিয়েই ছাড়বে তৃণমূল। বিজেপি বিরোধী বিকল্প শক্তি তৃণমূল বলেই আমাদের প্রার্থীর উপর এমন হামলা চালিয়েছে। বাকি বিরোধীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।