আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। এবার সেই অনুষ্ঠানের বহর তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা হলেও বাড়াল। শনিবার দুপুর দুটো থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দিতে শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ভাষণের পর একটি প্রশ্নোত্তরের পর্ব আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলতে পারেন।
এদিন মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “যতদিন না বিজেপিকে ভারত থেকে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে, ততদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াই চলবে। বাংলার মাটি থেকে যে লড়াই শুরু হয়েছে, তা দিল্লিতে গিয়ে থামবে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় তৃণমূল ক্ষমতায় আসছে। ত্রিপুরায় আর দুয়ারে গুন্ডা চলবে না, দুয়ারে সরকার যাবে।”
এদিন মঞ্চ থেকে হিন্দিতে বার্তা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করছি, যেখানে তৃণমূল যাবে, সেখানে তৃণমূলকে আটকে দেখান। যাঁরা ভাবছেন ইডি-সিবিআইয়ের ধমকানি দিয়ে তৃণমূলকে আটকে রাখবেন, তাঁরা ভুল ভাবছেন। যত এরকম করবেন, তত আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হব।’
এদিন তিনি আরো বলেন “যাঁরা বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখলের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা তৃণমূলের ছাত্র-যুবের কাছে ১০-০ গোলে হেরে গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও পৌঁছাতে পারেননি। ছাত্র-যুব যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা অভাবনীয়। নির্দ্বিধায়, ভাবাবেগকে সমর্থন করেছেন। আগামিদিনের লড়াইটা আরও বড়। পশ্চিমবঙ্গে আর সীমাবদ্ধ নেই তৃণমূল। ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, ‘যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি গণতন্ত্রের হত্যা করেছে এবং মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে, সেখানে সেখানে আমরা যাব। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব আমরা। ওরা ভাবছে যে আমাদের ভয় দেখাবে, আর আমরা বসে থাকব। ওরা ভুলে যাচ্ছে, এটা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দের মাটি।’