ইডি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর ওনার স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে। কয়লা কেলেঙ্কারে আর আর্থিক তছরুপ নিয়েও দুজনকে সমন পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তবে এই নিয়ে এদিন মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কয়লা চুরির ক্ষেত্রে শুধু তৃণমূলকে ধরলে হবে? তোমার সিআইএসএফ কি করছিল? ইলেকশন এর সময় তোমাদের যত নেতা ছিল তারা আসানসোলের কোল মাফিয়াদের হোটেলে ছিল। লিস্ট বার করবো। ইস্ট ওয়েস্ট হোটেলে কারা ছিল। তোমাদের অনেক নেতারা অনেক কিছুতে জড়িয়ে পড়েছে আমি কাউকে এরেস্ট করিনি। তোমরা তৃণমূলকে পলিটিক্যালি লড়ো, তা পারছো না। তুমি একটা ইডি দেখাবে, আমি ওই ইডির কাছে বস্তা ভরে কাগজ পাঠাবো। তুমি সব ম্যানেজ করবে। গুজরাটের কম ইতিহাস আমরা জানিনা। রাজনীতি সৌজন্যতা দেখিয়ে করলে আমিও তাই করবো। কিন্তু এত ভিন্ডিক্টিভ পলিটিক্স কোনোদিন দেখিনি। এই রাজনীতি আমরা করিনা।’
তিনি এদিন স্পষ্ট করেই বলেন, ‘অভিষেকের সঙ্গে পারলে, রাজনৈতিক লড়াই লড়ো। একটা ইডি দেখালে, আমিও বস্তা ভরে তথ্য দেব। কিছু না হলে আমরাও আদালতে যাব। এত প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি আমি আগে দেখিনি। কয়লা চুরিতে শুধু তৃণমূলকে ধরলে হবে? কয়লা কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয়। বিজেপি নেতাদের নিয়ে কেন সিবিআই তদন্তে যাচ্ছে। সব কমিশনকে পলিটিক্যাল বানানো হচ্ছে।’
আরও পড়ুন- ‘ত্রিপুরায় আর দুয়ারে গুন্ডা নয়, দুয়ারে সরকার হবে’ দাবি অভিষেকের
তিনি বলেন, “মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভোট-পরবর্তী হিংসায় পাঁচজন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ১৬ জন তৃণমূলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সিবিআই নিয়ে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু কেন বিজেপির লোকের সঙ্গে গ্রামে যাবে? সিবিআইকে নিজের মতো কাজ করতে দিন।বিজেপি সদস্য। আমি যখন সরকার চালাই, তখন সকলের জন্য আমি। আমি বিজেপির মতো নয়। শুধু বিজেপির জন্য কাজ করব। তৃণমূলকর্মীরা ভুল করলেও তাঁদের গ্রেফতার করেছি।”
এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ‘ওঁনার লোক দিতে হবে, নাহলে ফাইলে স্বাক্ষর করবেন না। ব্ল্যাকমেল করেন রাজ্যপাল।’
আরও পড়ুন-‘দিল্লী যখন আমাদের সাথে রাজনীতিতে পেরে ওঠেনা, তখন এজেন্সী লেলিয়ে দেয়’, ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর
“পকেটে নেংটি ইঁদুর বের করেছে, সেটাই পকেটে কেটে দিয়েছে। একটা ইডি দেখাব, আমি ভরতি কাগজ পাঠাব, যদি কোনও পদক্ষেপ না করা হয়, আমরাও আদালতে যান।”
এদিন তিনি শাহকে তোপ দেগে বলেন, “অমিত শাহ মনে রাখবেন, বিধানসভা ভোটের সময় তোমার যত মন্ত্রী আসানসোলে এসেছিলেন, সবাই কয়লা মাফিয়াদের হোটেলে ছিল। ইস্ট-ওয়েস্ট হোটেলে কে ছিল? তালিকা প্রকাশ করব? আমার কাছে অন্তত ১০ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম আছেন, যাঁরা আসানসোলকে লুটে খেয়েছেন।”
ভারতের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করার কথা বলে মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় বলেন,’১৮ কোনও বাধা মানে না। ভারতের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের কাজ শুরু করুক যুব তৃণমূল। আমি চাই যে সার ভারত তৃণমূল দাপুটে হয়ে উঠুক।’