প্রতিবেদন : মানবাধিকার কর্মী তিস্তা শীতলাবাদের হেনস্তা ও গ্রেফতারিতে মোদি সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখছে সব মহল। ভারতের বিরোধী দলগুলি ও নাগরিক সংগঠন তো বটেই, প্রতিবাদ জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘও। এই সূত্রেই উঠে আসছে দুটি ঘটনার বিপরীত অবস্থানের প্রসঙ্গও।
কয়েকদিন আগেই বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পয়গম্বর সম্পর্কে করা আপত্তিকর মন্তব্যে গোটা দেশে আগুন জ্বলেছিল। সংঘর্ষে প্রাণ যায় কয়েকজনের। আন্তর্জাতিক আঙিনায় হেঁট হয়েছিল দেশের মাথা।
আরও পড়ুন-জুবেরের গ্রেফতারির নিন্দা ও মুক্তির দাবি গিল্ডের
পশ্চিম দুনিয়া সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি কড়া প্রতিবাদ জানায়। কূটনৈতিক স্তরে অপদস্থ হতে হয় ভারত সরকারকে। কিন্তু তারপরেও ফৌজদারি আইনে বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ নূপুর হলেন মোদি ঘনিষ্ঠ। অথচ ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার ভয়ঙ্কর খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন যে সমাজকর্মী, সেই তিস্তা শীতলাবাদকে রাজনৈতিক আক্রোশে চরম হেনস্তা হতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমেদাবাদ জেলে রয়েছেন তিনি। এই দুই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থানের বৈপরীত্যই দেখিয়ে দিচ্ছে মোদি জমানায় মানবাধিকারের নমুনা।