সম্ভাবনা তেমনই ছিল, শেষ পর্যন্ত সেটাই হতে চলেছে। এটিকে মোহনবাগানের পর এসসি ইস্টবেঙ্গলেরও কলকাতা লিগে খেলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দুই প্রধানকে ছাড়া করোনাকালে ময়দানে ঘরোয়া লিগের আকর্ষণ ফিকে। রবিবারই সূচি অনুযায়ী কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে মাঠে নামার কথা ছিল মোহনবাগানের। কল্যাণীর মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল জর্জ টেলিগ্রাফ। এএফসি কাপে দল নকআউট পর্বে যাওয়ার পর সবুজ-মেরুন কর্তারা মৌখিকভাবে জানালেও সরকারিভাবে চিঠি দিয়ে লিগ না খেলার সিদ্ধান্ত আইএফএ-কে জানাননি। তাই নিয়মানুযায়ী এদিন মাঠে গিয়েই ওয়াকওভার পেল জর্জ টেলিগ্রাফ।
আরও পড়ুন-ডিসকাস থ্রোয়ে ব্রোঞ্জ বিনোদ কুমারের
ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা আবার অন্য জায়গায়। ঘরোয়া লিগ খেলা নিয়ে ক্লাব ও লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা ভিন্ন মেরুতে। ক্লাব কর্তারা পাঁচ দিনে দলগঠন করে কলকাতা লিগ খেলার চ্যালেঞ্জ ছুঁডে় দিয়েছিলেন। লগ্নিকারী সংস্থা অগ্রাধিকার দিচ্ছে শুধু আইএসএলকে। সূচি অনুযায়ী কলকাতা লিগে মঙ্গলবার লাল-হলুদের প্রথম ম্যাচ। কিন্তু পরিস্থিতি যা, তাতে ঘরোয়া লিগে খেলার সম্ভাবনা নেই এসসি ইস্টবেঙ্গলের। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আইএসএলে খেলার সুযোগ পেলেও শেষ মুহূর্তে দলগঠন করে কলকাতা লিগে খেলা সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। শনিবার চিঠি দিয়ে তা আইএফএ-কে জানিয়ে দিয়েছেন ক্লাবের সিইও।
আরও পড়ুন-হাই জাম্পে রুপো জয় নিষাদ কুমারের
দুই প্রধান কলকাতা লিগে না খেলায় কড়া মনোভাব নিতে চলেছে আইএফএ। সংস্থার সচিব রবিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলকে চিঠি দিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী লিগে কোনও দল না খেললে সংশ্লিষ্ট ক্লাবের অনুমোদন বাতিল করার ক্ষমতা আছে আইএফএ-র। আইএসএল খেলতে হলেও প্রতিটি প্লেয়ারের রেজিস্ট্রেশন করাতে হয় আইএফএ-তে। কর্তারা চাইলেই তা আটকাতে পারেন। কিন্তু বাংলার গর্ব দুই বড় ক্লাবকে চরম শাস্তি দেওয়ার সাহস কি পাবে পেরেন্ট বডি? সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আমরা কড়া মনোভাব দেখাচ্ছি। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বিষয়টি দেখবে। এসসি ইস্টবেঙ্গলের চিঠির উত্তর দিয়েছি। মোহনবাগান যেটা করেছে, সেটাও ঠিক নয়। ওরা আমাদের শনিবার চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিতে পারত, তাহলে আমরা আজকের (রবিবার) ম্যাচ বাতিল করে দিতাম। শুনলাম ওরা চিঠি পাঠিয়েছে শনিবার রাতে। আইএফএ অফিস তো আর ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকতে পারে না’’।