প্রতিবেদন : শনিবার সকালেই জাপানের সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের (Japan Ex PM Shinzo Abe) মরদেহ তাঁর টোকিওর বাসভবনে এসে পৌঁছয়। মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। শিনজোর মৃত্যুর প্রেক্ষিতে জাপানের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে শনিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জাপানের দূতাবাসে গিয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা শনিবার টোকিওতে শিনজোর বাড়িতে এসে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।
আরও পড়ুন: মিউজিয়াম থেকে সরছে বরিসের মূর্তি
শুক্রবার দক্ষিণ জাপানের নারা শহরে এক নির্বাচনী প্রচার সভায় টেটসুয়া ইয়ামাগামি নামে এক প্রাক্তন সেনা কর্মী শিনজোকে (Japan Ex PM Shinzo Abe) গুলি করে খুন করে। প্রাথমিক জেরার পর জানা গিয়েছে, টেটসুয়ার লক্ষ্য ছিল এক ধর্মগুরু। ওই ধর্মগুরুর সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্ঠতা ছিল শিনজোর। কিন্তু ওই ধর্মগুরুকে হাতের কাছে না পেয়ে পরিকল্পনায় বদল আনে আততায়ী। ইতিমধ্যেই এই হত্যার কারণ জানতে ৯০ সদস্যের এক বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে জাপান পুলিশ। শিনজোকে হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে টানা জেরা চলছে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, জেরায় টেটসুয়া জানিয়েছে সে শিনজোর নীতি ও কাজকর্মে প্রবল অসন্তুষ্ট ছিল। যদিও কয়েকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, অল্প বয়সে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বেকারত্বের কারণেই তীব্র আর্থিক অনটনে পড়েছিল টেটসুয়া। প্রবল মানসিক অবসাদে ভুগছিল সে। টেটসুয়া যে হঠাৎই শিনজোকে গুলি করেছে তা নয়। দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেই সে শিনজোর উপর আক্রমণ চালিয়েছে। পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে কোনও বড়সড় চক্রান্তের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেয়নি পুলিশ। কারণ বৃহস্পতিবার অনেক রাতে ঠিক হয়েছিল যে, শুক্রবার সকালেই শিনজো নারা শহরে আসবেন। কীভাবে সেই খবর টেটসুয়া জানল এবং সঠিক সময়ে অকুস্থলে পৌঁছে গেল তা নিয়ে পুলিশের মনে সন্দেহ রয়েছে।