সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার কোটালের জেরে বুধ ও বৃহস্পতিবার ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। যার জেরে সতর্ক করা হল মৎস্যজীবীদের। কারণ ওই দু’দিন উত্তাল হবে নদী ও সমুদ্র। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মৎস্যজীবীদের রক্ষা করতে মৎস্যদফতর সুন্দরবনের বিভিন্ন বন্দরে মাইকিং শুরু করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে সব ট্রলারকে নিরাপদ স্থানে চলে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সাগর থেকে বন্দরে আসতে শুরু করেছে ট্রলার। চলছে ইলিশ ধরার মরশুম।
আরও পড়ুন-মানুষকে ভাতে মারছে কেন্দ্র
সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দিঘি, সাগর ও পাথরপ্রতিমার কয়েক হাজার ট্রলার মাছ ধরতে মাঝসমুদ্রে ইলিশ ধরার জন্য হাজির হয়েছিল। কিন্তু মৎস্য দফতরের নির্দেশ পেয়ে তড়িঘড়ি বন্দরে ফিরেছে বেশিরভাগ ট্রলার। মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগরের মৎস্যবন্দরগুলিতে গত দু’দিন ধরে মাইক প্রচার চলছে। আগামী দু’দিনও প্রচার চলবে বলে জানা গিয়েছে। গত ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছিল সামুদ্রিক মাছ ধরার মরশুম। বর্ষা এলেও এবারে বৃষ্টি না হওয়ায় ইলিশের ঝাঁকের দেখা মেলেনি। প্রথম ট্রিপে লোকসানের মুখে পড়েছে বেশিরভাগ ট্রলার।
আরও পড়ুন-প্রতিবন্ধীদের দুয়ারে শংসাপত্র
নিম্নচাপের সতর্কতা পেয়ে ফিরে আসায় আবারও লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে আক্ষেপ মৎস্যজীবীদের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) পিয়াল সর্দার জানান, ‘‘গত দু’দিন জেলার উপকূল ও বন্দর এলাকায় মৎস্যজীবীদের সতর্কতা করে দেওয়া হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার কোনও ট্রলার যেন সমুদ্রে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়নগুলিকে বলা হয়েছে।’’ সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ পেয়ে সব ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। আগামী দু’দিন সব মৎস্যজীবীও নিরাপদে থাকবেন।”