প্রতিবেদন : ফের একবার শান্তির বাণী শোনা গেল তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার মুখে। তিনি বললেন, সামরিক শক্তির ব্যবহার এখন সেকেলে হয়ে গিয়েছে। কোনও মানুষই আর হিংসা ও যুদ্ধ চায় না। বরং তাঁরা চায় মিলেমিশে থাকতে। কিন্তু কিছু রাষ্ট্রশক্তি নিজেদের স্বার্থে সামরিক শক্তির আস্ফালন দেখায়। আসলে এটা তাদের দম্ভের বহিঃপ্রকাশ। যাবতীয় সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হতে পারে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সরাসরি নাম না করলেও দলাই লামা এই মন্তব্যে চিনের জিনপিং সরকারকেই কটাক্ষ করেছেন।
আরও পড়ুন-বিশেষ ছাড়
ফের লাদাখে আসছেন দলাই লামা। এখানে তাঁর মাসখানেক থাকার কথা। দলাই লামার এই ভারত সফরে যথারীতি ক্ষুব্ধ চিন। চিনের কমিউনিস্ট সরকার আগেই এই তিব্বতি ধর্মগুরুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে চিহ্নিত করেছিল। তবে দলাই লামা এদিন জম্মুতে বলেন, তিনি কখনওই তিব্বতের স্বাধীনতা চাইছেন না। তবে তিব্বতীদের জন্য তিনি অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাইছেন। চিন প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে দলাই লামা বলেন, কিছু চিনা কট্টরপন্থী শাসক আমায় বিচ্ছিন্নতাবাদী মনে করে। সে কারণেই তারা আমার সমালোচনা করে। তবে চিনের মানুষও এখন বুঝতে পেরেছে যে, দলাই লামা তিব্বতের স্বাধীনতা নয় স্বায়ত্তশাসন চাইছেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, চিনের মানুষও এখন তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কারণ তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্ম অত্যন্ত বিজ্ঞানভিত্তিক।