প্রতিবেদন : ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে ও বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমদাসা (Sajith Premdasa)। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে এটা বলা যেতেই পারে যে, প্রেসিডেন্ট পদে রনিলকে (Ranil Wickremesinghe) চাইছেন না দেশের মানুষ। কারণ তাঁরা মনে করছেন, রনিলকে সামনে রেখে পিছন থেকে ছড়ি ঘোরাতে পারেন গোতাবায়া ও তাঁর পরিবার। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে আছেন সাজিথ (Sajith Premdasa)। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে সবার আগে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি ফেরানোর চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: ঋষিকে প্রধানমন্ত্রী পদে মানতে রাজি নন বরিস
শনিবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। সেখানেই প্রথমে প্রেসিডেন্টের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার কথা জানানো হয়। তারপর ইস্তফাপত্রটি পড়ে শোনানো হয়। গোতাবায়া তাঁর ইস্তফাপত্রে লিখেছেন, দেশের এই আর্থিক পরিস্থিতির জন্য আমি দায়ী নই। এর জন্য দায়ী করোনা ও লকডাউন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে রাজাপক্ষে পরিবারের তিন সদস্য সরে গেলেও শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতির এখনও কোনও উন্নতি হয়নি। দেশে জ্বালানির তীব্র সংকট। তাই পেট্রোল, ডিজেল কেনার ক্ষেত্রে ন্যাশনাল ফুয়েল পাস চালু করল বিদ্যুৎ ও শক্তিমন্ত্রক। ওই পাস ছাড়া কোনও জ্বালানি মিলবে না। তবে পাস থাকলেও ইচ্ছামতো জ্বালানি পাওয়া যাবে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কী পরিমাণ জ্বালানি পাবেন তা ওই পাসে লেখা থাকবে। জ্বালানির কালোবাজারি রুখতেই এই সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি সামাল দিতে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক প্রবাসী শ্রীলঙ্কানদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অনেকেই বিপুল পরিমাণ ডলার পাঠিয়েছেন। এখন দেখার তাঁদের এই চেষ্টায় দেশ তার সংকট কতটা কাটিয়ে উঠতে পারে।