যদিও শুধু ডায়মন্ড হারবারের(Diamond Harbour) জন্য এই সুবিধা চালু হয়েছিল তবে সেটা মোটেই সীমাবদ্ধ থাকেনি শুধু ওই এলাকা। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই নজির গড়ল ‘এক ডাকে অভিষেক’ (Ek Dake Abhishek) কর্মসূচি। মাত্র ১ মাসে ‘এক ডাকে অভিষেক’ ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ এই নম্বরে দেড় লক্ষ ফোনকল এসেছে । ডায়মন্ড হারবার ছাড়িয়ে গোটা রাজ্য থেকে সমস্যা, অভাব, অভিযোগ নিয়ে মানুষ এখন ফোন করেছেন এই নম্বরে। একমাসে নথিবদ্ধ হয়েছে ৫০ হাজার অভিযোগ। এক ডাকে অভিষেকের সাফল্যের রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)।
আরও পড়ুন-বিজেপি নিজেরাও জানে না বাংলায় তাদের ক’জন বিধায়ক আছে: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
টুইট করে এদিন ‘এক ডাকে অভিষেক’-এর রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এই কর্মসূচি এখন আর শুধু ডায়মন্ড হারবারে সীমাবদ্ধ নেই বরং তা গোটা রাজ্যে সর্বজনীন রূপ নিয়েছে। টুইট করে অভিষেক জানিয়েছেন, “মানুষের সমর্থনে সফলভাবে আজ ১ মাস সম্পন্ন করল এক ডাকে অভিষেক। এই একমাসে ১.৫ লক্ষ ফোন কলের পাশাপাশি ৫০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে এই নম্বরের মাধ্যমে। তার মধ্যে ১১ হাজার ডায়মন্ড হারবারের। আর বাকি ৩৯ হাজার সারা বাংলার।” একইসঙ্গে তিনি লেখেন, “মানব সেবাই ঈশ্বর সেবা”।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশে নর্মদায় পড়ল বাস, মৃত একাধিক, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন সাংসদ হিসেবে আটবছর পূর্ণ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইদিন নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক নিজের রিপোর্ড কার্ড পেশ করেছিলেন জনগণের উদ্দেশে। একইসঙ্গে অভাব অভিযোগ জানানোর জন্য একটি টোল ফ্রি নম্বর দিয়ে মানুষকে আবেদন জানিয়েছিলেন, যা বলার সাংসদকে বলুন। স্থানীয় কোনও নেতার বিরুদ্ধেও কেউ যদি অভিযোগ জানান তাহলে তা নিশ্চিন্তে জানাতে পারেন। কারণ তাঁর নাম পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকবে। অভিষেকের অভিনব এই জনসংযোগ রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয়। এরপর সম্প্রতি ধূপগুড়ির জনসভায় এই নম্বর ডায়মন্ড হারবারের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের মানুষের জন্যও দিয়ে দেন অভিষেক। তবে একমাসের রিপোর্টেই প্রকাশ্যে এল ‘এক ডাকে অভিষেক’ এখন শুধু কয়েকটি জায়গার জন্য সীমাবদ্ধ নেই, তা এখন গোটা রাজ্যের জন্য।