প্রতিবেদন: বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রাজনৈতিক ইতিহাস। এ রাজ্যে বামপন্থী সরকারের আমলে গণতান্ত্রিক ভাবে মানুষের রায় সঠিক ভাবে ভোটের বাক্সে প্রতিফলিত হচ্ছে না। এটা প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেসনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বাংলাজুড়ে তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন ‘নো ভোটার আই, কার্ড নো ভোট’।
আরও পড়ুন-ধর্মতলায় বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের স্রোত বাঁধ মানছে না, উচ্ছ্বসিত মতুয়ারাও
সেই দাবিতে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সেদিন ছাত্র-যুব সহ বাংলার হাজার হাজার মানুষ পথে নেমে এসেছিলেন। সেই লড়াই প্রবল প্রতিপক্ষ বামপন্থী সরকারের মনেও ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। তাঁরা উপলব্ধি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বাংলার কোটি কোটি মানুষ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চাইছে। সেই ভয় থেকেই একুশে জুলাই সিপিএম নেতাদের নির্দেশে নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্মম ভাবে গুলি চালায় পুলিশ।
আরও পড়ুন-উচ্ছ্বাস আর আদর্শের প্রতিফলন দেখা গেল ধর্মতলার সমাবেশে
পুলিশের গুলিতে সেদিন আমরা আমাদের ১৩ জন প্রিয় সহকর্মীকে হারিয়েছিলাম। তারপর থেকে আমরা প্রতি বছর শহিদ তর্পণ করছি। সেই শহিদ তর্পণ এবার ২৯ বছরে পা দিল। আমরা বলি ‘শহিদের রক্ত হবে নাকো ব্যর্থ’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই লড়াই ব্যর্থ হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি মেনে ভারত সরকার ও নির্বাচন কমিশন ১৯৯৪ সাল থেকে গোটা দেশে সচিত্র পরিচয়পত্র ধাপে ধাপে চালু করতে বাধ্য হয়। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশের প্রায় ৯০ কোটি মানুষ সচিত্র পরিচয়পত্র পেয়েছেন। এ সাফল্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই সাফল্য।