রাজ্যের বাংলার নামেই প্রকল্প হবে। কেন্দ্রের কাছে হাত পাতবে না বাংলা- একুশে জুলাইয়ে মঞ্চ থেকে কেন্দ্রে বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা তুলে অভিষেক বলেন, ‘‘কেন্দ্র বাংলার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজের ৯ হাজার কোটি টাকা বন্ধ করেছে কেন্দ্র। সড়ক যোজনার সাড়ে চার-পাঁচ হাজার কোটি টাকাও বন্ধ। বাংলা আবাস যোজনায় সাড়ে ছ’হাজার কোটি বন্ধ।‘‘ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট বার্তা, বাংলার নিজের টাকা নিজেই জোগাবে। ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে সময় দিন। তবে কেন্দ্রের চাপে পড়ে আমরা মাথা নোয়াবো না। কেন্দ্র চেয়েছিল কেন্দ্রের নামে প্রকল্প করতে হবে, তবেই টাকা দেবে কেন্দ্র। কিন্তু অন্য দলগুলির মতো এই চাপের কাছে আত্মসমর্পন করিনি। আমরা বলেছি, বাংলার প্রকল্প হলে শুধু বাংলার নামেই হবে। তাতে যদি কেন্দ্র টাকা না দিতে চায় বাংলার সেই টাকা লাগবে না।‘‘ বাংলা নিজের রাস্তা নিজে বানাবে- বার্তা অভিষেকের।
‘বাংলা আবাস যোজনা’র নাম থেকে ‘বাংলা’ কেটে ‘প্রধানমন্ত্রী’ বসাতে হবে। না হলে এই প্রকল্পে আর এক টাকাও দেওয়া হবে না- নবান্নকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে ছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। তা নিয়ে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, “বাংলা আপনার কাছে হাত পাতবে না। বাংলা থেকে বাংলার টাকা বাংলার কাছে যাবে। দিল্লির কাছে হাত পাততে, মেরুদণ্ড বিক্রি করতে রাজি নই। আমাদের এটাই পুঁজি। অন্য দলের মতো আমরা আত্মসমর্পণ করিনি। করব না। প্রকল্প হলে বাংলার নামে হবে। নইলে টাকার দরকার নেই।“ মমতা যদি দেড় কোটি পরিবারের মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিতে পারেন, তবে বাংলা আবাস যোজনা হবে। দিল্লির দয়ায় বাংলার মানুষ বেঁচে নেই- কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন অভিষেক।
আরও পড়ুন-নেতাদের তল্পিবাহক হয়ে ভোটে তৃণমূলের টিকিট পাওয়া যায় না: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) জানান, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে, গত ১১ বছরে কারও উপর ১০ পয়সাও করের বোঝা চাপাননি মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। তাও বাংলায় উন্নয়ন হচ্ছে। ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও একটু সময় দিন। আমাদের টাকাতেই রাস্তা হবে।”
সমাবেশের মঞ্চ থেকে দলত্যাগীদের গদ্দার, মীরজাফর বলে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, কয়েকটি নকুলদানা চলে যাওয়ায় তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হয়নি।