আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে জানতে চান লোকসভার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় জলশক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল স্বীকার করে নিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা এখনও ভারত সরকারের জল জীবন মিশনের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়া থেকে বঞ্চিত। পাইপ লাইনের মাধ্যমে নিরাপদ জল সরবরাহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা এখনও আর্সেনিকযুক্ত পানীয় জল খেতে বাধ্য হচ্ছেন।
আরও পড়ুন-ফেসবুকে মত্ত বাবা, বাথটবে ডুবে মৃত্যু মেয়ের
পানীয় জলের জন্য সঠিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। তৃণমূল সাংসদ উল্লেখ করেন, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের বিস্তীর্ণ এলাকায় মানুষ দিনের পর দিন আর্সেনিকযুক্ত বিষাক্ত জলপান করছেন। সেজন্য সরকারের আগামী দিনে কোনও পরিকল্পনা আছে কি? এর উত্তরে মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে গবেষণা করে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের বিস্তীর্ণ এলাকায় আর্সেনিকযুক্ত জলের সন্ধান পাওয়া যায়। তার পর থেকেই বিশুদ্ধ জল সরবরাহের জন্যে কাজ চলছে। আরও কিছুটা সময় লাগবে।
রাজ্যভিত্তিক এবং বিভাগভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ হয় না বলে জানাল কেন্দ্র। লোকসভার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বরাদ্দ বাজেটের কত শতাংশ খরচ করা হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষের বাজেট বরাদ্দের ৯৯.৫১ শতাংশ খরচ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-নদীর দূষিত জল পান করে অসুস্থ মুখ্যমন্ত্রী
বিমান ভাড়া বাড়ানো বা কমানোর পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হাত নেই। লোকসভার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে জানালেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং। তিনি জানিয়েছেন, বিমান পরিবহণ সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের ওপরই বিমানের ভাড়া ওঠাপড়া নির্ভর করে। ডিজিসিএ কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র যাত্রী সুরক্ষা এবং বিমানের সুরক্ষা নিয়েই দেখভাল করে। বিমানের ভাড়ার বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করে না।
আরও পড়ুন-দীনেশ গুণবর্ধনে লঙ্কার নয়া পিএম
গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন লোকসভার তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী। তাঁর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কে সিং জানান, দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনার মাধ্যমে দেশের গ্রামগুলিতে বিদ্যুদয়ন করা হয়েছে। সাংসদের প্রশ্ন ছিল, ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামেও কি বিদ্যুৎ পৌঁছেছে? জবাবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, সেখানেও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে।
লোকসভার তৃণমূল সংসদ মালা রায় লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে অসামরিক বিমান চলাচলের সঠিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। এই খাতে কত টাকা খরচ করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ৪,৫০০ কোটি টাকা। যার মধ্যে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২,৬১০ কোটি টাকা।