ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস বৃহস্পতিবার দিনভর ২১ জুলাইয়ের শহিদ (TMC Shahid Dibas) স্মরণে ১৩ জন শহিদকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায় পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা জমায়েত হয়েছিল। দলের প্রত্যেক সদস্য এবং বরিষ্ট নেতা-নেত্রীরা উদ্যোগ নিয়ে এই শহিদ দিবস পালন করেছেন। একই সঙ্গে রাজ্য দফতরে বড় পর্দায় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সকলের বক্তব্য শোনেন।
আরও পড়ুন: দল ছেড়েও ভুলতে পারছেন না, চুপি চুপি মমতার ভাষণ শুনেছিলেন শুভেন্দু
রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাপ্টু চক্রবর্তী, তাপস রায়, সহ-সভাপতি প্রকাশ দাস, মহিলা সভানেত্রী পান্না দেব, যুব সভাপতি শান্তনু সাহা, যুব সহ-সভাপতি নীলকমল সাহা এবং সকল নেতৃবৃন্দরা এদিন মিলিত হয়ে শহিদ দিবস (TMC Shahid Dibas) পালন করেছেন। মাল্যদান থেকে বক্তব্য রাখা ১৩ জন শহিদের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান জানাতে একপাও পিছু হাটেনি ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। এছাড়াও তাঁরা ভোলেননি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মুজিবর ইসলাম মজুমদারকে যেভাবে বিজেপি শাসিত গুন্ডারা নির্মম ভাবে আক্রমণ করেছিল। শ্রদ্ধেয় মুজিবর ইসলাম মজুমদারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সকল ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ২১শে জুলাই উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একচিলতে বাড়ি দেখতে মানুষের ভিড়
আগরতলার রাজপথ থেকে শুরু করে ধর্মনগর, আমবাসা, বিলোনিয়া, অমরপুর, সোনামুরা রাজ্যের প্রত্যেক জায়গাতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা এই বিশেষ দিনটি পালন করেছেন। কারণ, তাঁরা কখনওই ভুলতে পারেনি ১৯৯৩ সাল এই দিনেই ঘটে যাওয়া সেই নির্মম ঘটনা। তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা আশ্বাস দিয়েছেন যে ১৩ জনের মধ্যে একজন শহিদের রক্ত যাবেনা বৃথা, ত্রিপুরা রাজ্যের জনসাধারণের অধিকার ও স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আমরণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। যেভাবে প্রতিপদে বিজেপি শাসিত গুন্ডাদের দ্বারা সাধারণ মানুষকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস আগামী দিনে বৃহত্তর ভাবে লড়বার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। ত্রিপুরার বুকে স্বাধীন এবং পরিবর্তনের সকাল আনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস জোরকদমে মাঠে নেমেছে এবং দুর্নীতি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত রুখে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।