প্রতিবেদন : মহারাষ্ট্র থেকে যদি রাজস্থানি এবং গুজরাতিদের সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে মহারাষ্ট্রে কোনও টাকা অবশিষ্ট থাকবে না। মুম্বইও ভারতের বাণিজ্যনগরী থাকবে না। বিতর্কিত এই মন্তব্য করে তীব্র নিন্দার মুখে পড়ছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি (Bhagat Singh Koshyari)। শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি প্রতিটি দলই রাজ্যপালের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে। বিভিন্ন মহল থেকে কেশিয়ারির এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করা হলেও বিজেপি নেতা নীতেশ রানে রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্যপালের মন্তব্য অপমানজনক নয়। মুম্বইয়ের উন্নয়নে রাজস্থানি এবং গুজরাতিদের অবদানের কথাই তিনি সামনে এনেছেন।
আরও পড়ুন: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গণধর্ষণ ৮ মডেলের
এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে রাজ্যপালের মন্তব্যের সমালোচনা করে ট্যুইট করেন, মুম্বইয়ে প্রথম অধিকার সেই মারাঠিদেরই যাঁরা শহরটি গড়েছেন। অখণ্ড মহারাষ্ট্রের লক্ষ্যে সংগ্রাম চালিয়েছেন। প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্যপালের মন্তব্য সেই শহিদদের অপমান করেছে। মুম্বইয়ে প্রথম অধিকার রয়েছে তাঁদের, যাঁরা এই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং শহরকে ভালবাসেন। মারাঠিদের গর্ব ও ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য রাজ্যপালকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে শিবসেনা। পাশাপাশি শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেরও নিন্দা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য না করার কারণেই তাঁর সমালোচনা করা হয়েছে। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, মারাঠি অস্মিতায় আঘাত করেছেন রাজ্যপাল। বিজেপির পোষা একজন মসনদে বসতেই মারাঠিদের অপমান শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, রাজ্যপালের এ ধরনের কথা বলা কখনও উচিত হয়নি। উল্লেখ্য, শুক্রবার মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে প্রয়াত শান্তিদেবী চম্পালালজি কোঠারির নামে একটি চকের উদ্বোধন করার সময় এই মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। তবে বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দার মুখে পড়ে রাজ্যপাল (Bhagat Singh Koshyari) শনিবার তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে কোশিয়ারি জানান, তিনি কেবল শহরের শিল্প-বাণিজ্যে গুজরাতি ও রাজস্থানি সম্প্রদায়ের অবদানের কথা বলেছেন। মারাঠিভাষীদের ছোট করার কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বরং মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হিসাবে কাজ করে তিনি গর্বিত।