প্রতিবেদন : রাজ্যকে বঞ্চনা, রাজ্যের মানুষকে বঞ্চনা, রাজ্যের উন্নয়নকে রুখে দেওয়ার চক্রান্ত। বিজেপির বিরুদ্ধে বহুদিন থেকেই এই অভিযোগে সরব তৃণমূল নেতারা। শনিবার সেই অভিযোগেই সিলমোহর দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনই দাবি তৃণমূল শিবিরের। ২৪ ঘণ্টা আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের বকেয়া টাকা অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার এই চিঠির পরই সরব হয়েছে তৃণমূল শিবির। লোকসভায় দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandyopadhyay) বিরোধী দলনেতার এই ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, অতীতে আমরা দলমত নির্বিশেষে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে দরবার করেছি। এটাই এ রাজ্যের ট্র্যাডিশন। গণতন্ত্রে এই পরম্পরাই চলে আসছে। সেখানে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে কার্যত রাজ্যবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। এই অভিযোগ করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Bandyopadhyay) আবেদন, অবিলম্বে বিরোধী দলনেতার এই চিঠি প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। এর আগে শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। এই দাবি সম্বলিত একটি চিঠিও প্রধানমন্ত্রীকে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার তারই পাল্টা চিঠি দিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: কাকলিকে জেলা সভাপতি পেয়ে উচ্ছ্বসিত কর্মীরা