নয়াদিল্লি : ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির আবেগ তুলে প্রচারের পরিকল্পনা করছে বিজেপি। একইসঙ্গে অযোধ্যায় পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনা দেখা যেতেই জমি নিয়ে কালোবাজারি শুরু করেছে বিজেপি ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষ। শুরু হয়েছে বড় দুর্নীতি। ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় বেআইনিভাবে জমি বেচাকেনায় নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতারা। জমি কেনাবেচার ঘটনায় জড়িত ৪০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে অযোধ্যা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এই তালিকায় রয়েছে শহরের মেয়র থেকে বর্তমান, প্রাক্তন বিধায়কদের নাম। প্রাক্তন বিধায়ক গোরক্ষনাথ বাবা-সহ এদের সকলের বিরুদ্ধেই বেআইনিভাবে জমি বিক্রি এবং বিতর্কিত জমিতে পরিকাঠামো নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। যদিও, মেয়র ঋষিকেশ উপাধ্যায় এবং বিধায়ক বেদপ্রকাশ গুপ্ত অবশ্য কর্তৃপক্ষের তালিকায় নাম থাকলেও তাঁরা নিজেদের নির্দোষ বলেছেন। পাশাপাশি পুরো বিষয়টিকে তাঁরা কথিত ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন। অযোধ্যা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভাইস চেয়ারম্যান বিশাল সিং রবিবার সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, অযোধ্যা ও সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে জমি কেনা, বিক্রি করা এবং নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত এমন ৪০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ৪০ জনের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তালিকা প্রকাশের পরেই সমাজবাদী পার্টি ট্যুইট করে জানিয়েছে, এটা অযোধ্যায় (Ayodhya) বিজেপি কর্মীদের পাপ! বিজেপির মেয়র, স্থানীয় বিধায়ক এবং প্রাক্তন বিধায়ক জমি মাফিয়াদের সাথে যোগসাজশ করে এলাকায় জমি বেচা-কেনা করছেন। বিজেপি নেতারা রীতিমতো অবৈধ কলোনি গড়ে তুলছেন। প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশে ৩০টি অবৈধ কলোনি তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে রাজ্যের শত শত কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টির যথাযত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন: দলের নির্দেশ অমান্য করায় দুজনকে চিঠি