বাসুদেব ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে চা বলয়ে এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। চা- সুন্দরী প্রকল্পের মাধ্যমে মাথার ওপর ছাদ পেয়েছেন শ্রমিকরা। বন্ধ হয়ে যাওয়া একের পর এক বাগান খুলেছে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। ২০ বছর পর মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে ডুয়ার্সের তিনটি বাগানের শ্রমিকদের মুখে।
আরও পড়ুন-গঙ্গাদূষণ রোধে বিশেষ হাইড্রান্ট
ধরণীপুর চা- বাগান খুলে গিয়েছে দিনকয়েক আগেই। আজ বুধবার খুলছে রেড ব্যাঙ্ক এবং সুরেন্দ্রনগর চা-বাগান। রেড ব্যাঙ্ক চা-বাগানের শ্রমিক বিনস্তি মুন্ডা জানালেন, এতদিন তাঁরা অন্য বাগানে গিয়ে অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তাও সব সময় তাঁদের কাজ দেওয়া হত না, ফলে কিছুটা নির্ভর করতে হত ১০০ দিনের কাজের ওপর। খুব কষ্টে দিন গুজরান করছিলেন তাঁরা। বাগান খোলায় তাঁরা আবার পুরনো ছন্দে ফিরতে পারবেন, সন্তানদের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার সঠিক ভাবে তুলে দিতে পারবেন। এই বাগানেরই আরেক শ্রমিক কিশোর আহির জানালেন, বাগান বন্ধ হয়ে যাবার ফলে প্রচণ্ড বিপাকে পড়েছিলেন, বাধ্য হয়ে নদীতে পাথর তোলার কাজ করছিলেন। সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন-মহিষাদলে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে পোস্টার
এই অবস্থায় তাঁদের বাগান খোলায় নতুন করে বাঁচার আশা তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন। ধরণীপুর চা-বাগান ৫ তারিখে খোলার পর সেই বাগানের শ্রমিকদের ও হাতে ১০০০ টাকা করে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাগানের শ্রমিকরাও খুশি। শ্রমিকদের শুকনো চোখগুলো উন্নয়নের আলোয় সজীব হয়েছে। নিজেদের কাজ ফিরে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।