সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : মন্ত্রী হলেও তিনি তাঁর শিকড়টাকে ভুলে যাননি। তাই হয়তো নিজেকে অবলীলায় চাষার ছেলে পরিচয় দিয়ে কৃষকদের সাথে মাঠে হাল বইতে নেমে যেতে পারেন। প্রায় ১২ বছর পর দুর্গাপুর থেকে মন্ত্রী হয়েছেন কোনও বিধায়ক। যার জেরে স্বভাবতই খুশি এলাকার মানুষ। এবার সেই মন্ত্রীকেই দেখা গেল নিজের বিধানসভা এলাকায় গামছা পরে, কৃষকের বেশে স্থায়ীয় কৃষকদের সঙ্গে মাঠে হাল দিতে। এদিন এমনই অভিনব চিত্র ধরা পড়ল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল লাগোয়া কাঁকসা ব্লকের রূপগঞ্জ গ্রামে।
আরও পড়ুন-মহরম পালিত
কৃষকদের মতো রীতিমতো গামছা বেঁধে ধানের খেতে নেমে হাল দিতে দেখা যায় সম্প্রতি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের পূর্ণ দায়িত্ব পাওয়া দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদারকে। তিনি সাধারণ কৃষক পরিবারের ছেলে এবং মাটির মানুষ। তাই মন্ত্রী হলেও তিনি যে তাঁর এলাকার শহর ও গ্রামের প্রতিটি সাধারণ মানুষের সাথেই আছেন এদিন জমিতে হাল দিয়ে সেই বার্তাই দিলেন রাজ্যের নতুন দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে রাজ্য মন্ত্রিসভা রদবদলের সময় প্রদীপ মজুমদারকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টাও ছিলেন। এর আগেও তাঁকে মন্ত্রী করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-শ্রীলঙ্কায় আসছে চিনা জাহাজ, আপত্তি দিল্লির
কিন্তু সেবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রদীপবাবু জয়ী না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এবার মন্ত্রী হয়ে একেবারে মাঠে নেমে হাল দিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয়পাত্র হিসেবে পরিচিত বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রীকে। তাঁকে এইভাবে ধানখেতে নেমে হাল বইতে বিস্ময়ে হতবাক এলাকার মানুষের ছিল একটাই কথা, এইজন্যই হয়তো তৃণমূলকে ‘মা মাটি মানুষের’ দল বলা হয়।