প্রতিবেদন : কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়ার জন্য যেদিন শহর ছেড়ে পাতিয়ালার জাতীয় শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন সে দিনটার সঙ্গে আজকের আকাশ পাতাল ফারাক। গ্রামের পরিচিত মানুষদের ভালবাসা, মন্ত্রী-বিধায়কদের শুভেচ্ছা, সংবাদক্যামেরার ফ্ল্যাশ বাল্বের ঝলকানি, ফুল, মালা, মিষ্টিমুখ— সত্যিই বদলে গিয়েছে অচিন্ত্য শিউলির জীবন। মাত্র ১১ বছর বয়সে বাবার আচমকা মৃত্যুর পর এমন একটা দিনের স্বপ্ন দেখা ছিল পাঁচলার দেউলপুরের দরিদ্র শিউলি পরিবারের কাছে বিলাসিতা।
আরও পড়ুন-লাঙল নিয়ে মাঠে মন্ত্রী
সোনাজয়ী ভারোত্তোলকের সৌজন্যে সেখানেই এখন হাজার ওয়াটের আলো। কুড়ি বছরের ছেলেটিকে এখন সবাই একটু ছুঁতে চায়, কাছে পেতে চায়। সোমবার রাতেই শহরে ফিরেছেন। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে নিয়ে দেখা গিয়েছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। আর মঙ্গলবার গোটা দিন দেউলপুরবাসী রীতিমতো উৎসব করল তাদের সোনার ছেলেকে নিয়ে। সারা দিন ধরে সংবর্ধনা, আতিথেয়তা, ভালবাসার অত্যাচার হাসি মুখেই সামলালেন অচিন্ত্য। অনেক দিন পর বাড়ি ফিরে মায়ের হাতের পছন্দের খাবার নারকেল মাখা ভাত খেয়েছেন। জলখাবারে ছিল প্রিয় কড়াইশুঁটির কচুরি, চানা মশালাও।
আরও পড়ুন-মহরম পালিত
সংবর্ধনার জোয়ারে ভেসে না গিয়ে সারা দিনের ব্যস্ততার মাঝেও নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানিয়ে রাখলেন অচিন্ত্য। গেমস রেকর্ড গড়ে কমনওয়েলথে সোনা জয়ের পর পরবর্তী লক্ষ্য কী? সেনাবাহিনীর হাবিলদার পদে চাকরি করা অচিন্ত্য বলছিলেন, “অবশ্যই প্যারিস অলিম্পিক। নভেম্বরের শেষে বিভিন্ন কোয়ালিফাইং গেমস শুরু হবে। আমার লক্ষ্য হবে দ্রুত অলিম্পিকে নামার যোগ্যতা অর্জন করা। তার আগে আগামী বছর এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে চাই। সেখানেও সোনা জেতার চেষ্টা করব।”