সংবাদদাতা, হাওড়া : হাওড়া স্টেশন থেকে নগদ ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধারের পর দূরপাল্লার ট্রেনে নাকা-তল্লাশি আরও জোরদার করছে রেলপুলিশ। এই ব্যাপারে আরপিএফের তরফে জিআরপির সঙ্গে বৈঠক করে একটি ‘বিশেষ দল’ তৈরি করা হচ্ছে। ওই বিশেষ স্কোয়াডের সদস্যরা হাওড়া স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে চিরুনি-তল্লাশি চালাবে।
আরও পড়ুন-গাড়ি বাতিল বন্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য
এ-ছাড়া চলন্ত ট্রেনের মধ্যেও রেলপুলিশের বিশেষ বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাবে। তদন্তে জানা গেছে, ট্রার্মিন্যাস স্টেশনের পরিবর্তে মধ্যবর্তী স্টেশন থেকে টাকা বা সোনা পাচারকারীরা ট্রেনে ওঠে। আর অনেকক্ষেত্রেই হাওড়া আসার আগে তারা নেমে যায়। হাওড়া স্টেশনকে ট্রানজিট পয়েন্ট করে পাচারকারীরা উত্তর-পূর্ব ভারত-সহ আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন চোরাইসামগ্রী থেকে শুরু করে নগদ টাকা পাচার করছে। সম্প্রতি হাওড়া স্টেশন থেকে একাধিকবার কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সোনার গয়না, বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে হাওড়া স্টেশনকে ট্রানজিট পয়েন্ট করে সড়ক, রেল বা জলপথে ওইসব চোরাইসামগ্রী পাচার হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-গাছে রাখি বেঁধে, নদীতে ভেলা ভাসিয়ে অভিনব উৎসব পালন
পাচারকারীরা মূলত মাঝের কোনও স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠায় আরপিএফের চোখে সহজেই ধুলো দিয়ে সহজে গা-ঢাকা দিতে পারে। এই ব্যবস্থা বন্ধ করতে এবার জিআরপির সঙ্গে যৌথভাবে কাজে নামছে আরপিএফ। পাশাপাশি চলন্ত ট্রেন ও ট্রার্মিন্যাস ছাড়াও মধ্যবর্তী স্টেশনগুলিতে নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে। এদিকে বুধবার হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ ৩৫ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করে রেলপুলিশের তরফে আয়কর দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাওলার মাধ্যমে ওই টাকা পাচারের ছক ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।